সেরা ছন্দের মেসিকে কখনোই কামনা করে না প্রতিপক্ষরা। যেদিন মেসি নিজের সেরা ছন্দে থাকবেন, সেদিন নিশ্চিত প্রতিপক্ষ দুমড়ে-মুচড়ে যেতে বাধ্য। শনিবার রাতে ইতালিয়ান ক্লাব ন্যাপোলি সেটাই টের পেয়েছে।
যেন আপন শক্তিতেই জ্বলে উঠেছিলেন বার্সার আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। দুর্দান্ত একটি গোল করলেন। একটি গোল বাতিল হলো। আবার একটি পেনাল্টিও জিতলেন তিনি। যেটা থেকে গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ।
এক কথায় মেসি ম্যাজিক। সেই ম্যাজিকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগের ম্যাচে ন্যাপোলিকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টারে নাম লিখলো মেসির বার্সেলোনা। নাপোলির মাঠে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। দুই লেগ মিলে ৪-২ অগ্রগামিতায় শেষ আটে জায়গা করে নেওয়া বার্সেলোনা কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। যারা শনিবার রাতেই ফিরতি লেগের ম্যাচে চেলসিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে।
খেলার দশম মিনিটে এগিয়েও যায় বার্সেলোনা। ইভান রাকিতিচের কর্নারে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন লংলে। দুর্দান্ত এক গোলে ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। সুয়ারেসের ক্রস পাওয়ার সময় তার সামনে ছিলেন নাপোলির দুই খেলোয়াড়, পরে যোগ দেন আরেক জন। ঘেরাও থেকে বল নিয়ে বের হতে গিয়ে পড়ে যান মেসি, তবুও নিয়ন্ত্রণ হারাননি। ততক্ষণে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষের আরও কয়েক জন, তবুও কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুজে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি বার্সেলোনা অধিনায়কের।
সাত মিনিট পর আবারও বল জালে পাঠিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু রাকিতিচের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করার সময় বল তার হাত স্পর্শ করায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেস। কালিদু কলিবালি মেসিকে ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।
কিছুক্ষণ পর মের্টেন্সকে রাকিতিচ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ন্যাপোলি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমান ইনসিনিয়ে। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে ব্যবধান আরও কমানোর সুযোগ এসেছিল ইতালিয়ান দলটির সামনে। কোনোমতে রক্ষা পায় বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্বাগতিকদের চেপে ধরে ন্যাপোলি। ৫২তম মিনিটে সুযোগও এসে যায়। তবে খুব কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর হেড করে দলকে হতাশ করেন ইনসিনিয়ে।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে খেই হারাচ্ছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এরই মধ্যে ৭০তম মিনিটে বদলি নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে যান নাপোলির ইয়েরভিং লোসানো। কিন্তু হেড লক্ষ্য রাখতে পারেননি তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
৮১তম মিনিটে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন আর্কিদিউস মিলিক। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোল দেননি রেফারি। বাকি সময়ে বার্সেলোনাকে প্রবল চাপে রাখে সফরকারীরা। কিন্তু জালের দেখা আর মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত ক্লেমেন্ত লেঙলেট, লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের তিন গোলে ন্যু ক্যাম্পেই ন্যাপোলিকে বার্সা হারাল ৩-১ গোলে। ন্যাপোলির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লোরেনজো ইনসিগনে। দুই লেগ মিলিয়ে বার্সার জয়ের ব্যবধান ৪-২ গোল।
খুলনা গেজেট/এএমআর