ভারতের মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমার ব্যক্তিগত বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাড়িটি খালি থাকায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে তার সরকারি বাসভবনে আছেন।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার্থে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে দুই দিনের কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার (১৬ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রোববার আসাম থেকে শিলং আসা একটি গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এতে গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন। একই সময়ে শহরের বিভিন্ন অংশে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আসাম পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারফিউ চলাকালীন রাজ্য থেকে জনগণকে শিলং ভ্রমণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই কারফিউ।
গত শুক্রবার মেঘালয় পুলিশের গুলিতে সাবেক বিদ্রোহী নেতা ক্রিস্টারফিল্ড থাংখিইউয়ের মৃত্যুর পর উত্তাল হয়ে উঠে রাজ্য। তিনি স্থানীয় বিদ্রোহী দল হানিয়েট্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিলের নেতা ছিলেন।
এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশ জানায়, বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গেলে পুলিশের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান ক্রিস্টারফিল্ড। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন তিনি। ক্রিস্টারফিল্ডের পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা করেই পুলিশ তাকে হত্যা করেছে।
ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (১৫ আগস্ট) পদত্যাগ করেন মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষণ। মুখ্যমন্ত্রী সাংমার কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে তিনি এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন।
সাবেক এ বিদ্রোহী নেতার শেষ যাত্রায় সামিল হয়ে রোববার শত শত মানুষ কালো পোশাক পরে এবং কালো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেন। এ সময় রাজধানী শিলংসহ অন্তত চারটি জেলায় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষ হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম