আইপিএলের এবারের আসলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে কাটার মোস্তাফিজ। রাজস্থান রয়্যালস হয়ে দারুণ বোলিং করে চলেছেন।সোমবার (২৭ সেপ্টম্বর) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৭তম ওভারে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামনান বল তুলে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে। ২৪ বলে তখন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দরকার ২৬ রান। এমন সময়ে এসে মুস্তাফিজ দেন মাত্র চার রান। তার এমন বোলিংয়ের পরও জিততে পারেনি তার দল। হায়দরাবাদের কাছে ম্যাচ হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৪ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার এভিন লুইস। তবে আরেক ওপেনার জসস্বী জাসওয়াল ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে করেন ৩৬ রান।
আগের ম্যাচের মতো এদিনও দলটির ব্যাটিংয়ের মূল দায়িত্ব নেন অধিনায়ক স্যামসান। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ বলে ৮২ রান করেন তিনি। তবে এক মহিপাল লমরার ছাড়া আর কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ২৮ বলে ২৯ রান করেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে রাজস্থান। হায়দরাবাদের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সিদ্ধার্ত কাউল।
রাজস্থানকে জবাব দিতে নেমে দারুণ উদ্বোধনী জুটি পায় হায়দরাবাদ। পুরো আসরজুড়েই যেটিকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল তারা। ৬ষ্ঠ ওভারে প্রথম বলে ঋদ্ধিমান সাহা ও জেসন রয়ের এই জুটি ভাঙার আগে যোগ হয় ৫৭ রান। ১১ বলে ১৮ রান করে আউট হন সাহা।
৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ বলে ৬০ রান আসে জেসন রয়ের ব্যাট থেকে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন প্রিয়াম গার্গ। প্রথম বলেই মুস্তাফিজের বলে বোকা বনে আউট হন তিনি। বাংলাদেশি পেসারের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন বোলারের হাতে।
তবে তাতে জিততে সমস্যা হয়নি হায়দরাবাদের। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ৫ চার ও ১ ছক্কায় তার ঠাণ্ডা মাথার ৪১ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ৯ বল আগেই জয় পায় হায়দরাবাদ। ৩ ওভার ৩ বল হাত ঘুরিয়ে ২৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মুস্তাফিজ।