হীরাঝিল বাঁচাও আন্দোলনে এক নয়া মোড়। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাধের প্রাসাদ হিরাঝিল আজ চরম অবহেলায় বাঁশ গাছের জঙ্গলের আড়ালে পড়ে রয়েছে।
যে নবাব সিরাজউদ্দৌলার গল্প শুনতে প্রতিবছর লাখ লাখ ইতিহাস প্রেমী পর্যটক মুর্শিদাবাদের জমিতে পা রাখেন সেই নবাবের প্রাসাদ কেন এতখানি অবহেলার শিকার।
গত ৫ ডিসেম্বর এই প্রাসাদকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হিরাঝিল বাঁচাও আন্দোলন।
মুকুন্দবাগ অঞ্চলের সতী চৌরাহা মৌজা বাগানপাড়ার অন্তর্গত এই হীরাঝিল প্রাসাদকে ভাগীরথীর ভাঙ্গণের হাত থেকে রক্ষা করে সংরক্ষণ করা হলে এলাকা তথা মুর্শিদাবাদের ইতিহাসের মুকুটে যুক্ত হবে এক নতুন পালক। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আন্দোলন এবং রাষ্ট্রপতি থেকে মুখ্যমন্ত্রী অবধি মোট ৪২ টি চিঠি জমা করেন হিরাঝিল বাঁচাও কমিটি।
সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সাড়া দিয়ে আজ স্টেট আর্কিওলজি ভিজিট করলো হিরাঝিল। কিউরেটর মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট মিউজিয়াম মৌসুমী ব্যানার্জির তত্ত্বাবধানে ইনস্পেকশন হলো হিরাঝিল।
ভাগীরথীর পাড় বাঁধিয়ে, হীরাঝিল প্রাসাদ এর সংরক্ষণ করে, সৌন্দর্যায়ন করা হলে মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ফিরে পাবে তার অতি অনস্বীকার্য এক বিশেষ দিক। বেঁচে থাকবে আবেগ। বেঁচে থাকবেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা, যিনি আজও মুর্শিদাবাদের শেষ কথা।
খুলনা গেজেট/ এস আই