আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে জয়খরা কাটালো দিল্লি ক্যাপিটালস। গত আসরে ফাইনালসহ চার ম্যাচ খেলে সবগুলোতে হেরেছিল তারা। এবার প্রথম দেখায় সেই হারগুলোর প্রতিশোধ নিলো ঋষভ পান্তের দল। রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে গতবারের রানার্সআপ দল।
অমিত মিশ্রের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মুম্বাইকে ৯ উইকেটে ১৩৭ রানে থামানোর পর ব্যাটিংয়ে দায়িত্ব নিলেন আগের ম্যাচের নায়ক শিখর ধাওয়ান। হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হন তিনি। তবে দিল্লি জয়ের ভিত গড়েছে তার ব্যাটেই। দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ ছিল মন্থর, তাতে সতর্ক থেকে ব্যাটিং করে গেছেন তিনি। ১৫তম ওভারে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দেন টানা দুই বলে ছয় চার মেরে। কিন্তু থামতে হয়েছে এরপরই।
দলকে একশতে পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন প্রথম ওভারেই জীবন পাওয়া ধাওয়ান। ট্রেন্ট বোল্টের বলে হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত ক্যাচ হন, কিন্তু বল মাটি স্পর্শ করায় বেঁচে যান তিনি। তবে বাঁহাতি ওপেনার ৫ রানের জন্য এই আইপিএলে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৪২ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ইনিংস সেরা ৪৫ রান করে রাহুল চাহারের শিকার হন। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে গত ম্যাচেও ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি হয়নি ধাওয়ানের। তবে জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
১১ রানে পৃথ্বী শ (৭) জয়ন্ত যাদবের বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন। এরপর স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান। ২৯ বলে ৩৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান আউট হন কিয়েরন পোলার্ডের বলে। ললিত যাদবের সঙ্গে ধাওয়ানের জুটি ছিল ৩৬ রানের। অধিনায়ক ঋষভ পান্ত জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যান, করেন ৭ রান। ততক্ষণে দল জয় থেকে ২৩ রান দূরে।
ললিত ও শিমরন হেটমায়ার রানের গতি তুলতে পারেননি, তাতে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ রান। যশপ্রীত বুমরার দুটি নো বলের ফায়দা নিয়ে ১০ রান তুলে নেন তারা। শেষ ওভারের প্রথম বলে জাতীয় দলের সতীর্থ কিয়েরন পোলার্ডকে চার মেরে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান হেটমায়ার। পরের বলটি ছিল নো এবং সিঙ্গেলও নেন তিনি। ১৯.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৮ রান করে দিল্লি।
চার ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেলো দিল্লি। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্টে শীর্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চার ম্যাচে দুটি জয় ও দুই হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই।