খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

মুজিববর্ষে রামপালে ১০ ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছেন আশ্রয়স্থল

রামপাল প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার মুজিব শতবর্ষ “বাংলাদশ একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে সমগ্র দেশ জুড়ে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে রামপাল উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভুমিহীনদের গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। রামপাল উপজেলায় গৃহ নির্মান কাজ এরই মধ্য প্রায় শেষ হয়েছ।

চলতি মাসের যে কোনদিন প্রধানমন্ত্রী দেশ ব্যাপি একযোগে উদ্বোধন করবেন নির্মিত এই ঘর। তার পরই প্রতিটি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। এরই মধ্য রামপাল উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ১০টি ঘরজুড়ে নতুন স্বপ বুননে সারাজীবন কাটাবেন উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন ব্যক্তিরা। যারা আগে অন্যর জমিতে দিন অতিবাহিত করতেন মুজিববর্ষ পুনর্বাসিত হচ্ছে সেই সকল উপকারভোগীরা। তারা নতুন ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত বাড়িটিতে থাকছে দুটি কক্ষ, একটি বারান্দা, রানার জায়গা ও একটি টয়লেট। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ ব্যয় হছ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ভূমিহীন ও হতদরিদ্রদের মধ্যে ঘর পেয়েছেন, উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের আলুকদিয়াচর গ্রামের হুমায়ুন শেখ ও মোঃ হেমায়েত উদ্দিন জমাদ্দার , আদাঘাট গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম শেখ, আলমগীর শেখ, মোঃ আলামিন, জরিনা বেগম ও প্রসাদ নগরের মোঃ আব্দুর রউফ ইজারদার, হনুফা বেগম, তামিদুল শেখ ও মোঃ হানিফ শেখ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নরে নির্মাণ করা হয়ছে ১০ টি ঘর। সেখানে সুপেয় পানির জন্য রয়েছে বিশাল পুকুর। এছাড়া ভুমিহীন পরিবারের সন্তানদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনের পরই উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় যাদের নামে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে তাদের হাতে ঘররের চাবি হস্তান্তর করা হবে।

এবিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে দেওয়া হতদরিদ্রদের মাঝে দেওয়া দশটি ঘরের কাজ ইতিমধ্যে প্রায় শেষ। আমরা সাধ্যমত ঘরগুলি সঠিকভাবে ও দ্রততার সাথে বাকি কাজগুলি শেষ করবো। উন্নতমানের টিন ও আসবাবপত্রসহ ইট, সিমেন্ট ও বালু, রড দিয়ে আমাদের তদারকির মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব শতভাগ কাজ করার চেষ্টা করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার কেউ থাকবেনা গৃহহীন আর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই অঙ্গীকার হিসাবে বাগেরহাটের রামপালে প্রকৃত যাচাই বাচাইয়ের মাধ্যমে হতদরিদ্র ও ভূমিহীনদের মাঝে আধাঁপাকা নির্মিত এই ঘরগুলো আমারা কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দিবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘর নির্মানের সময় বারবার সেখানে গিয়েছি এবং শতভাগ কাজ করার চেষ্টা করেছি। রাস্তার পাশে বা অন্যর বাড়িতে থাকা অসহায় মানুষগুলো অন্তত আজ মাথাগোঁজার ঠাই করে দিতে পেরেছি। আশাকরি পর্যায় ক্রমে বাকি গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ও আমারা ঘর নির্মাণ করে দেবো।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!