খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব ছিলেন ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনি সকল সংগঠনকে পরিচালিত করতেন। নিজের সন্তানের সুখের কথা চিন্তা না করেই তিনি সংসারের অর্ধেক টাকা সংগঠনের পেছনে খরচ করেছেন। তিনি সব সময় বঙ্গবন্ধুকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব নিজে স্বশরীরে যুদ্ধ না করলেও বিভিন্নভাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তিনি জীবনের অধিকাংশ সময়ই স্বামীর সান্নিধ্য থেকে বঞ্ছিত ছিলেন। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে তিনি কষ্ট করে যেমন সংসার চালাতেন; একই ভাবে তিনি রাজনীতিকে পরিচালনা করেছেন। তাঁর ত্যাগ জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আবহমানকাল ধরে স্মরণ করবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের আদর্শকে সামনে রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর বঙ্গমাতার ত্যাগ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার পথ সহজ হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরিনা রহমান বিউটি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ আবিদ উল্লাহ, চ. ম. মজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, ফেরদৌস হোসেন লাবু, আব্দুল হাই পলাশ, মঈনুল ইসলাম নাসির, মো. জাকির হোসেন, মুন্সি সেলিম হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. আজম খান, সরদার আব্দুল হালিম, মো. শিহাব উদ্দিন, এম এ নাসিম, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, অধ্যা. এবিএ আদেল মুকুল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, নাসরিন আক্তার, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, পারভিন ইলিয়াছ, নুর জাহান রুমি, সমীর কৃষ্ণ হীরা, কবির পাঠান, মো. তাজুল ইসলাম, ফারুক হাসান তুরান, নজরুল ইসলাম, সফিকুর রহমান, আকরাম হোসেন, তোতা মিয়া ব্যাপারী, মল্লিক নওশের আলী, আব্দুল ওহাব, জেসমিন সুলতানা, রোকেয়া রহমান, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, আফরোজা জেসমিন বিথী, রেজওয়ানা প্রধান, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, বলাকা রায়, রেখা খানম, ইবনুল হাসান, সংকর কুন্ডু, নিশাত ফেরদৌস অনি, ওমর কামালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শোকসভা শেষে বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও হাফেজ আব্দুর রহীম।
অপরদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্ম বার্ষিকীর আলেচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এফ এম মাকসুদুর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, বিএমএ সালাম, রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মো, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সরদার আবু সালেহ, এসএম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, মোখলেছুর রহমান বাবলু, মোজাফ্ফার মোল্লা, ফারহানা হালিম, পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, কাজী শামীম আহম্মেদ, রবার্ট নিক্সন ঘোষ, মো. জামিল খান, মো. মানিকুজ্জামান অশোক, চৌধুরী মোহাম্মাদ রায়হান ফরিদ, খান সাইফুল ইসলাম, আহম্মেদ ফিরোজ ইব্রাহীম তন্ময়, পারভেজ হাওলাদার, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, মনোয়ারা খাতুন শিউলিসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শেষে বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি