বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনের কোষ্টাখালি খাল থেকে দুই জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে অস্ত্রের মুখে তাদেরকে অপহরণ করা হয়।
এক সঙ্গে পাঁচ জনকে অপহরণ করলেও মুক্তিপণ দিয়ে তিন জন ফিরে এসেছে। বাকি দুজন এখনো বনদস্যুদের হাতে জিম্মি দশায় রয়েছে।
বনদস্যদের কাছে জিম্মি দুই জেলে হলো মফিজুর রহমান(৩৩) ও মৃনাল সরদার(৩২)। তারা সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
মুক্তিপণ দিয়ে বনদস্যদের জিমি দশা থেকে ফিরে আসা জেলেরা হলো, জয়দেব, মুকুল ও রেজাউল। তাদের তিন জনেরই বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা অপর এক জেলে আব্দুর রহিম জানায়, তারা দু’দিন আগে কাকড়া শিকারের জন্য সুন্দরবনে যায়। বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের কোষ্টাখালী ও চুনকুড়ি নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের অস্ত্রধারী চার জন লোক তাদের পাঁচজনকে জিম্মি করে। একপর্যায়ে মাথাপিছু ১০ হাজার করে টাকা নিয়ে তাদের মধ্য থেকে তিন জনকে ছাড়লেও মফিজুর ও মৃনালকে জিম্মি করে রাখে।
আব্দুর রহিম ও তার সহযোগী জেলে আবুল বাসার জানান, জেলেদের জিম্মি ঘটনায় চার জন জড়িত। একটি ডিঙি নৌকায় অবস্থান করলেও তাদের কাছে দুটি এক নলা বন্দুক রয়েছে। শুরুতে নৌকা প্রতি ৫০ হাজার টাকা দাবি করলেও পরবর্তীতে ১০ হাজার করে নিয়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিয়েছে তিন জনকে। তবে জিম্মি করার পরপরই সব জেলেকে গরাণের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলেও তাদের দাবি।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) হাসানুর রহমান বলেন, কোন জেলে জিম্মি হওয়া বা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসার ব্যাপারে কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি জেনেছেন বলে নিশ্চিত করেন।
শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোন জেলের পরিবার থানায় এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।
খুলনা গেজেট/এএজে