মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারের অভ্যুত্থানকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশকে অনুমোদন দিয়েছেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জো বাইডেন এই নির্বাহী আদেশকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর ফলে দেশটির সামরিক নেতাদের, তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দিকে নজর রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৭২০ মিলিয়ন আর্থিক তহবিলও আটকাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমননীতির কারণে এই সব পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা মিয়ানমারের ওপর শক্তিশালী রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা, সুশীল সমাজ এবং দেশটির জনগণের সরাসরি উপকার করে এমন জিনিসের ক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন বজায় থাকবে। কিন্তু দেশটির সরকারকে উপকৃত করে এমন জিনিসের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সম্পদ ফ্রিজ করে রাখবে।
মিয়ানমারকে চাপে রাখতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের এই প্রচেষ্টায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করে। এসময় দু’জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন জীবনমরণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে।
জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে, গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের অসহযোগের ডাকে সাড়া দিয়ে শত শত সরকারি কর্মচারী রাজধানীতে মিছিল করেছেন। এতে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক, শিক্ষক, রেলকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য জনগণের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অং সান সু চিসহ দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির লাখো নাগরিক বিক্ষোভ শুরু করেন। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এদিন বিক্ষোভে বৌদ্ধভিক্ষুরাও যোগ দেন।
এদিকে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এ ভাষণে শিগগিরই নতুন নির্বাচন আয়োজন করে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির বর্তমান শাসক ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ মানুষ যখন ক্রমেই কঠোর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে, তখনই এমন ঘোষণা দিলেন মিন অং।
খুলনা গেজেট/কেএম