নিজ দেশের বাইরে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে মিসরের পার্লামেন্ট। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি তুরস্ক সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবেশি লিবিয়ায় সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়ার পর সোমবার (২০ জুলাই) পার্লামেন্টে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বসম্মতভাবে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর আওতায় একটি ‘পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রন্ট’ গঠন করতে পারবে কায়রো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশি লিবিয়ার প্রতি লক্ষ্য রেখে এই ফ্রন্ট গঠনের অনুমোদন দিয়েছে মিসরের পার্লামেন্ট।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে উত্তর আফ্রিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দু’টি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব,ও ফ্রান্স। ফলে লিবিয়ায় পাল্টাপাল্টি পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক ও মিসর।
সোমবার মিসরের পার্লামেন্টের এক রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে আলোচনা শেষে লিবিয়ায় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। একই দিনে লিবিয়ায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ মিশনের প্রধান স্টিফেন উইলিয়ামস।
খুলনা গেজেট/এআইএন