মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। বুধবার বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে তারা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাটে এসে পৌঁছেছেন।
গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘নেভাল শিপ চিন ডুইন’ জাহাজ থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এসব বাংলাদেশিদের নুনিয়ারছড়া ঘাটে নিয়ে এসেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমার ফেরত এই ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জনই কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করবে। তার পর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি করা হবে।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা অগ্রবর্তী মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি একটি বিশেষ ট্রলারে কক্সবাজার এসে পৌঁছান। দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পর পরই ঘাট থেকে গাড়ি নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রওনা হয়েছেন। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য।
তাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্যই প্রতিনিধিদলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে আশ্রয়রত সেনা ও বিজিপি সদস্যদের নিয়ে মিয়ানমারের ফেরত যাবে দলটি।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি ও সেনা সদস্যদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন পালিয়ে এসেছিলেন।
এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না।
তবে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ