বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় মিয়ানমারের আরও ১৭ জন সেনাসদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৭টায় প্রথম দফায় জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৪৫ নম্বর সীমান্ত দিয়ে জামছড়ি গ্রামে আসেন। সেখানে ১১ বিজিবির অধীন জামছড়ি বিওপি জোয়ানদের কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেন। একই পয়েন্ট থেকে বেলা আড়াইটায় আসেন আরও পাঁচজন। এ ছাড়া সকাল ১০টায় ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে মিয়ানমারের ২ সেনাসদস্য আশ্রয় নেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।
নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে থেকে ১৮০ জান্তা সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। নতুন করে আর ৩৩ জন যোগ হওয়ায় এখন ২১৩ জন আশ্রয় নিল। এদের মধ্যে অসুস্থ তিনজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে ভেতরে সংঘাতের কারণে দেশটির সেনা সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। যারা পালিয়ে আসছেন, তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হচ্ছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে তারা আশ্রয় নিয়েছেন।
বর্তমানে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সীমান্ত পয়েন্টে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেন।
খুলনা গেজেট/কেডি