খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনায় মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ২
  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা

‘মিতুর মৃত্যুর পর তিন বিয়ে করেন বাবুল আক্তার’

গে‌জেট ডেস্ক

মাহমুদা খানম মিতু হত্যার পর আরও তিনটি বিয়ে করেন তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। এর মধ্যে দু’জনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, বর্তমানে একজনের সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। মিতুর মা শাহিদা মোশাররফ বুধবার (১২ মে) গণমাধ‌্যম‌কে এ তথ্য জানান।

শাহিদা মোশাররফ বলেন, ‘মিতু মারা যাওয়ার আগে বাবুলের সঙ্গে গায়ত্রী নামে ভারতের এক নারীর সম্পর্ক ছিল। পরে মিতু সেটা জেনে যায়। শুধু গায়ত্রী নয়, আরও কয়েক জনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। যাদের মধ্যে তিন জনকে মিতুর মৃত্যুর পর সে বিয়ে করে।’

মিতুর মা জানান, মিতু মারা যাওয়ার পর বাবুল যেভাবে ভেঙে পড়ার অভিনয় করে তাতে আমরাও দুঃখ প্রকাশ করি। তবে তার সব অভিনয় আস্তে আস্তে ফাঁস হয়ে যায়। কারণ মিতু মারা যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে বাবুল এক মেয়েকে বিয়ে করে। তার সঙ্গে ঢাকার মগবাজারে আড়াই বছর সংসার করে। এরপর মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়।

শাহিদা মোশাররফ বলেন, ‘এরপর বাবুলের সঙ্গে খুলনার এক মেয়ের বিয়ে হয়। তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরে তিনমাস ভাড়া থাকে বাবুল। এরপর সেই মেয়ের সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘মিতুর মৃত্যুর পর দুই বিয়ে করেও খান্ত হয়নি বাবুল। কয়েকমাস আগে সে কুমিল্লার এক প্রকৌশলীর স্ত্রীকে বিয়ে করে। তার সঙ্গে সংসার করছিল মোহাম্মদপুরে বাসায় থেকে।’

শাহিদা মোশাররফ জানান, এ ছাড়াও বাবুল আক্তারের সঙ্গে ঝিনাইদহের এক এসআইয়ের স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো। মিতুর ছোটবোনের দিকেও বাবুল কুনজর দিয়েছিল বলে জানান শাহিদা মোশররফ।

মিতুর মা বলেন, ‘সব জেনে শুনেও মিতুর ছোট দুই বাচ্চার কথা ভেবে এতদিন কিছু বলিনি। তবে আমার দুই নাতি-নাতনিকে আমাদের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে বাবুল। তাদেরকে আমাদের জিম্মায় দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করি।’

এ সময় দেশের মিডিয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিতুর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের বিচারের জন্য পুলিশ ও মিডিয়া যেভাবে কাজ করছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, আদালতে আমার মেয়ের প্রকৃত খুনি শনাক্ত হবে এবং তার উপযুক্ত শাস্তি হবে।’

এদিকে মিতুর বাবার দায়ের করা এই মামলায় বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। বাবুল আক্তার ছাড়াও এ মামলায় আসামি সাতজন।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। ঘটনার পর বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!