৩৫ রানে নেই ৫ উইকেট। সেই রান দুশো পার হলো যার ব্যাটিংয়ের কল্যাণে, তিনি তাওহীদ হৃদয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে নিজের নামে একটি মুকুট যোগ করেছেন। আর এতে করে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার রমিজ রাজা।
তিনি বলেছেন, ‘মিডলঅর্ডারে বাংলাদেশ অমূল্য এক সম্পদ পেয়েছে।’
লড়াকু এক সেঞ্চুরিতে ক্রিকেটপ্রেমিদের মন জয় করেছেন হৃদয়। ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড ১৫৪ রান করার পথে জাকের ৬৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও হৃদয় ১১৮ বলে ১০০ রানে থেমেছেন। তবে তার ইনিংসটি আলাদাভাবে নজর কেড়েছে ক্র্যাম্প (মাংসপেশির টান) নিয়ে যেভাবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন সেটা।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বোর্ডপ্রধান রমিজ রাজা নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘রমিজ স্পিকস’এ বলেছেন, হৃদয় বাংলাদেশের জন্য অমূল্য এক সম্পদ। ‘বাংলাদেশ যে অবস্থায় ছিল, মনে হচ্ছিল এক শ রানও হয়তো করতে পারবে না। কিন্তু সেখান থেকে ইনিংসকে টেনে নেওয়াটা (দারুণ ছিল)। জাকেরের পারফরম্যান্সও অসাধারণ ছিল। দারুণ একটি জুটি গড়েছে তাঁরা। তবে ভারতের মতো শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে এমন পরিস্থিতিতে দলকে উদ্ধার করা এবং তারপর সেঞ্চুরি করা অনেক দুর্দান্ত ব্যাপার। হৃদয় অনেক নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। সে যদি নিজেকে সময় দেয় তবে ধারাবাহিকভাবে এমন বড় ইনিংস খেলতে পারবে। হৃদয়ের মাঝে দারুণ সম্ভাবনা আছে।’
হৃদয়কে নিয়ে রমিজ আরও বলেন, ‘হৃদয় বড় শট খেলতে পারে, আগ্রাসী মনোভাব আছে এবং রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও ভালো। পাশাপাশি প্রাণশক্তিও প্রচুর। মিডলঅর্ডারে বাংলাদেশ অমূল্য এক সম্পদ পেয়েছে। কারণ, যেদিন সে খেলে এমন দুর্দান্ত খেলতে পারে। আজ সেই সম্ভাবনা দেখা গেছে। এই ইনিংসের পর সে আরও অনেক দূর যাবে। এত বড় একটি দলের বিপক্ষে যে পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করেছে সেটা অনেক বড় ব্যাপার। ফলে নির্ভরযোগ্যতা, সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো এবং মানের দিক থেকে সবগুলো কাজই সে ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করেছে।’
হৃদয় ও জাকেরের জুটি থেকে পাকিস্তান দলকে শিক্ষা নিতেও বলেছেন রমিজ, ‘জাকের এবং তাওহিদের (হৃদয়) জুটি থেকে পাকিস্তান চাইলে অনেক কিছু শিখতে পারে। ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতির সঙ্গে তারা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে এবং ইনিংসকে টেনে নিয়েছে সেটা অনেক বড় দৃষ্টান্ত। পাকিস্তানের কথা আমি এ জন্য বলছি পাকিস্তান এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে। ভারতের সঙ্গেও ম্যাচ আছে। ফলে নিজেদের ভুল থেকে শেখাটা খুবই জরুরি। এখান থেকে এই দৃষ্টান্তটা পাওয়া যে, কখনো হার মানা যাবে না। যে কোনো পরিস্থিতি থেকে আপনি চাইলে বেরিয়ে আসতে পারেন, যদি আপনার মধ্যে সাহস, তাড়না, পরিকল্পনা এবং উপায় জানা থাকে। এই জুটিতে আমরা এগুলো সবই দেখেছি।’
খুলনা গেজেট/এএজে