যশোরের মণিরামপুরের শরিফুল ইসলাম (২৭) দীর্ঘ ১০ বছর মালয়েশিয়ায় অবস্থানের পর বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও জীবিত ফেরা হলো না। ২১ দিন পরে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত শরিফুলের মরদেহ কফিনে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। নামাজে জানাযা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহত শরিফুল উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র।
জানাযায়, ৬ মাসের শিশু পুত্র সাকিবুল ইসলাম এবং স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্যদের রেখে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মালয়েশিয়ায় যান তিনি। থাকতেন মালয়েশিয়ার পিনাং শহরে। ওই শহরে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। নিহত হওয়ার ২১ দিন পর শরিফুলের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছুলে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এছাড়া প্রতিবেশিদের কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
শরিফুলের পিতা আব্দুস সাত্তার বলেন, তার ছেলে বছর দশেক আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান।
নিহত শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শম্পা খাতুন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর একমাত্র সন্তান সাকিবুল ইসলামের জন্ম হয়। সাকিবুল ইসলামের বয়স ৬ মাস হলে সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে মালয়েশিয়া পাড়ি জমায় তার স্বামী। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। ছেলে সাকিববুল এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। এবার তার স্বামী বাড়ি ফিরবে বলে তাকে একাধিকবার মোবাইলে জানিয়েছিল। কিন্তু তার জীবিত বাড়ি ফেরা হলো না। তিনি স্বামীর আত্মার মাগফিরত কামনাসহ ছেলের ভবিষ্যতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই