খুলনা, বাংলাদেশ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  রাজধানীর মতিঝিল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট কাজ করছে
  সাম্য হত্যায় তিন আসামির ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  ডুমুরিয়ায় ট্যাংক লরি-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৪
  মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড, খালাস ৩

মালয়েশিয়ায় আটক খায়রুজ্জামানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

গে‌জেট ডেস্ক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম খায়রুজ্জামানকে শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। খায়রুজ্জামানকে ডিপোটেশন সেন্টারে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমি যতদূর বুঝি, আবারও তাকে সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করার এবং মামলাটিকে খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। সেটা আইন মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যেকোনো প্রবাসী কোনো অপরাধ করলে তাকে আমরা ফিরিয়ে আনি যে প্রক্রিয়ায় সেই প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন, আমরা তাকে ফিরিয়ে আনছি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি আইন ভাঙার কথা জানিয়েছে। এটা দূতাবাস জানে। আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। হয়তো ওভার স্টে, যে প্রক্রিয়ায় তিনি ছিলেন হয়তো সেটা এক্সপায়ার করে গেছে। কোনো আইন তিনি ভেঙেছেন, সেটার আওতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শরণার্থী কার্ড তার আছে কিনা আমার জানা নেই। মালয়েশিয়ান সরকার বলেছে,অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ভাঙায় তাকে আটক করা হয়েছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের অব্যাহতভাবে খুঁজি। সব সময় বলা হয় না, বলার প্রয়োজনও নেই। যদি না সেটা সফল হয়। আমরা জানতাম তিনি মালয়েশিয়ায় আছেন। মালয়েশিয়া থেকে বের হতে পারেননি বা এ রকম কিছু। এ ধরনের অপরাধী বা কথিত শব্দটি যদি ব্যবহার করি, পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ যে রকম আশ্রয় দেয়। খুনীদের আশ্রয় দিয়েছে অনেক জায়গায় দেখেছেন। এ রকম সুযোগ মালয়েশিয়ায় নেই। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় মিলে সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটির কোন পার্যায়ে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অথবা মামলাটি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে।

তিনি বলেন, একটি মামলার আসামি, যদিও একটা পর্যায়ে সাজাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা ছিল। পরে কোর্ট প্রসিডিংস, মাঝে বিএনপি সরকার এসেছে যারা এই কর্মকাণ্ডগুলোর সঙ্গে জড়িত। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যর্থতাগুলো, এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ রকম অনেক মানুষকে অব্যাহতভাবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের চালিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা যদি নিশ্চিত হই, তার কাছে ইউএন রিফিউজি কার্ড আছে, আমরা দেখবো ইউএন-এর কর্মকাণ্ডগুলোতে সদস্য রাষ্ট্রের আইনও প্রতিফলিত হয়। কারণ কোনো আইনই ইউএন করে না যেখানে কোনো সদস্য রাষ্ট্রের স্বার্থহানী হয় বা লিগ্যাল প্রসেস বাধাগ্রস্ত হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!