দুই বছর পর ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে অংশ নিতে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসবেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর কথা রয়েছে। সফরের দ্বিতীয় দিন দুই পররাষ্ট্রসচিব এফওসি বৈঠকে বসবেন। জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বুধবার (১৫ ফ্রেবুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৬ ফ্রেবুয়ারি) ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে কাত্রার।
এছাড়া সংক্ষিপ্ত সফরে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক এইচ শোলেট। সফরে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের বিশেষ এ উপদেষ্টা রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকায় আসবেন ব্লিনকেনের বিশেষ উপদেষ্টা শোলেট। পর দিন বুধবার সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। এছাড়া একই দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যায় শোলেটের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
কূটনৈতিক একটি সূত্র বলছে, মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেবেন শোলেট। তিনি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা, প্রত্যাবাসনে কীভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যায় এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন নিয়েও আলোচনা করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের বিশেষ উপদেষ্টা শোলেট। সেজন্য শোলেটের সফরটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সেটি সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া ডোনাল্ড লুর মতো গুরুত্বপূর্ণ না।
শোলেটের সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এ সফরে। এর বাইরে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা উঠবে। আমরা অবশ্যই আমাদের অগ্রাধিকার বিষয়গুলো তুলব।