করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু।
তার জুনিয়র (সহকারী আইনজীবী)ও ভাগ্নে তাসলিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে তার মৃত্যু ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওই দিনই তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে আব্দুল মতিন খসরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ৬ এপ্রিল সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই, এক বোন। আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ সালে সংবিধান ও মানবতাবিরোধী কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করেন তিনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই