দীর্ঘ ১৮ বছর পর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও স্বাক্ষীর জেরা করেনি আসামী পক্ষ। বুধবার সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর এর আদালতে বাদীর জেরা পর্ব শুরু করার আদেশ দিলেও আসামীপক্ষ বাদীকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানায়।
আসামী পক্ষ সুপ্রিম কোটের আপিলেট ডিভিশনে হাই কোট ডিভিশনের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বলে আদালতকে জানান। এরআগে হাইকোটের আদেশে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জজকোর্ট এর পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্দুল লতিফ জানান, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ধর্ষিতা গৃহবধুকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা করে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উলেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উলেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।
মামলাটির স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর পর বিগত ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে কোয়াশমেন্ট করেন আসামীরা। এরপর চলতি বছরের ২২ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে মামলাটির স্থগীতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্য শেষ করার জন্য চীফ জুডিশিয়াল আদালতে প্রেরণ করেন। ঘটনার ১৮ বছর পর বুধবার বাদীর স্বাক্ষীর মধ্যদিয়ে আবারো শুরু হওয়ার কথা ছিল শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার কার্যক্রম। কিন্তু আসামী পক্ষের আইনজীবীরা মামলার বাদী স্বাক্ষীর জেরা করেনি। আসামী পক্ষ সুপ্রিম কোটের আপিলেট ডিভিশনে হাই কোট ডিভিশনের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বলে আদালতকে জানান। ফলে ফের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এই মামলার বিচার কার্যক্রম।
খুলনা গেজেট/কেএম