খুলনা, বাংলাদেশ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু

মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও আধ্যাত্মিক শক্তি

প্রফেসর ড. গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

শক্তি একটি উল্লেখযোগ্য শব্দ, ইংরেজিতে বলা হয় Power. এখানে Power বলতে বুঝায় ওই শক্তি যা দেখা যায় না, কিন্তু এর প্রবল আকর্ষণ আছে যেমন আমরা বলি Knowledge is power অর্থাৎ ’জ্ঞানই শক্তি’; এখানে জ্ঞান তার শক্তি দ্বারা মানুষকে আকর্ষণ করে অথবা মানুষ জ্ঞান অর্জন করলে ওই মানুষের প্রতি অন্যেরা আকৃষ্ট হয় যেহেতু তার জ্ঞান আছে। কাজেই শক্তিতে রয়েছে টান বা আকর্ষণ। এখন আমরা দেখবো আমাদের আলোচ্য বিষয় মাধ্যাকর্ষণ শক্তি Gravitational Power ও আধ্যাত্মিক শক্তি Spiritual Power বলতে কি বুঝি?

মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এর আবিষ্কারক বৈজ্ঞানিক নিউটন যা ইতিহাসের তথ্য। তাহলে প্রশ্ন নিউটনের আগে কি এই শক্তির অস্তিত্ব ছিলো না? মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিউটনের পূর্বেও কার্যকরী ছিলো, কিন্তু সেটা কোথায় কিভাবে কার্যকরী ছিলো এ বিষয় বা তার অস্তিত্ব কিরূপ এ বিষয়ে মানুষের ধারণা ছিলো না।

বিজ্ঞানী নিউটনের আপেল মাটিতে পড়ার দৃশ্য দেখে এই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি-এর ধারণা অর্থাৎ পৃথিবীর একটা আকর্ষণ রয়েছে যে আকর্ষণের ফলে কোন বস্তু উপর হতে ছেড়ে দিলে অথবা উপর হতে নিক্ষিপ্ত হলে তা সোজা মাটিতে এসে পড়বে। এই আকর্ষণ এক ধরনের টান, যে টানের ফলে বস্তুটি উপর হতে পৃথিবীতে নেমে আসে এর টানকে বলা হয় মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। সুতরাং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বলতে আমরা যা বুঝি তা ভারী কোনো জিনিসের সাথে পৃথিবীর আকর্ষণের সম্পর্ক।

মানব সৃষ্ট প্রকৃতপক্ষে রহস্যময়। এ সৃষ্টি সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। মায়ের পেটে মানব দেহ গঠন শেষ হওয়ার পর মহান আল্লাহ রুহ ফুঁকে দেন। এই রুহ এক ধরনের আল্লাহর নির্দেশ বা আলোকময় এক নূরানী সত্ত্বা। রুহ দেহে প্রবেশের সাথে সাথে মায়ের পেটে শিশু জীবিত হয়। এই আলোকময় রুহ অন্ধকার দেহে প্রবেশ করে, কিন্তু যেহেতু এটা আল্লাহর নির্দেশ, সেহেতু এর টান থাকে আল্লাহর প্রতি। এখন পরিষ্কার বোঝা গেলো যে মানব দেহ পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি জগতে (আলমে খালক) এর মধ্যে এসে মানব দেহে প্রবেশ করছে। সুতরাং দেহ যদিও পৃথিবীতে অবস্থান করে কিন্তু রুহের টান বা আকর্ষণ মহান আল্লাহর প্রতি। এই টান বা আকর্ষণকে যে সব ব্যক্তি শক্তিশালী করতে পারেন এবং আল্লাহর মারেফাতের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে ফানাফিল্লাহ হতে পারেন, তারাই আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করতে সক্ষম হন। আধ্যাত্মিক শক্তিকে আমরা অনেক সময় আত্মিক শক্তিও বলে থাকি। পৃথিবীতে বসে আত্মার উন্নতি প্রয়োজন এবং এই আত্মিক উন্নতির ফলে আধ্যাত্মিক শক্তি জন্ম লাভ করে। তাই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টান পৃথিবীর দিকে আর আধ্যাত্মিক শক্তির টান মহান আল্লাহর দিকে।

দেহ স্থূল; পদার্থের সংমিশ্রণ, পৃথিবীও সেইভাবে সৃষ্ট। তাই দেহ পুরোপুরি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায়। এই দেহটাই আবার নফস বা প্রবৃত্তি। এই নফসের মৃত্যু আছে, কিন্তু রুহের মৃত্যু নেই।

তাই পাক কোরআনে বলা হয়েছে, কুল্লু নাফসেন যায়কাতুল মউত—-অর্থাৎ সকল দেহের (নফসের) মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এখানে অর্থাৎ পাক কোরআনে নফস বলা হয়েছে, রূহ বলা হয়নি।

বাংলা পরিভাষায় নফসকে জীবাত্মা বলে ও রুহকে পরমাত্মা বলে। তাই রুহের কোন মৃত্যু নেই, কেননা রুহ সরাসরি মহান রবের আদেশ। প্রকৃতপক্ষে দেহ হতে রুহ যখন ইল্লিন অথবা সিজ্জিন-এ চলে যায, তখনই এই অবস্থাকে দেহের মৃত্যু বুঝায়। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ যখন দেহ হতে উঠিয়ে নেয়া হয় বা বের হয়ে যায়, তখন দেহ অকেজো হয়ে পড়ে; দেহের শক্তির কার্যকারিতা থাকে না। তাহলে রুহ দেহের সবকিছু–শক্তি ও চালক। এই রুহ বা পরমাত্মা এবং দেহ বা জীবাত্মা এর মিলনেই পূর্ণাঙ্গ মানব দেহ কার্যকরী থাকে এবং বিভিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমে আধ্যাত্বিক শক্তি লাভ করতে পারে।

দেহ বা নফস জাগতিক, অপরপক্ষে রুহ আলোকময়। একটি দৃশ্যমান, অপরটি অদৃশ্য জগতের সত্ত্বা। পৃথিবীর শক্তি দেহকে টানে, আল্লাহর শক্তি রুহকে টানে। দেহের যেমন পৃথিবীর প্রতি মোহ রয়েছে, তেমনি রুহের আল্লাহর প্রতি মোহ সৃষ্টি করতে হবে। পবিত্র হাদিসে কুদসীতে আছে, “তুমি আল্লাহর বিধি-বিধান মানিয়া চলো, তারপর আল্লাহময় হয়ে যাও, তারপর তুমিও বলো হও, দেখো হয়ে যায়।” এই বিধি-বিধান বলতে পাক কোরআন ও সুন্নাহ।

পাক কোরআন ও সুন্নাহ মেনে চললে ও আল্লাহর রাসূলের নির্দেশ মতো আমল করলে, জিকির করলে কলব আলোকময় তথা নূরানীময় হয়ে উঠবে। সুতরাং আধ্যাত্মিক শক্তির প্রকৃত উৎস কোরআন ও সুন্নাহ।

পাক কোরআন-এ সুরা ‘রা’দ’-এর ২৮ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, “আল্লাজিনা আমানু ওয়া তাতমাইনু কুলুবুহুম বিজিকরিল্লাহ; আলা বি জিকরিল্লাহি তাতমাইনুল কুলুব” অর্থাৎ ইহারা হইতেছে ওই সমস্ত লোক যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং আল্লাহর জিকিরে তাহাদের অন্তঃকরণ তৃপ্ত হয়, উত্তমরূপে বুঝিয়া লও যে, আল্লাহর জিকিরে অন্তরসমুহে শান্তি লাভ হইয়া থাকে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীতে আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন তা অর্জন করতে হয় না, কিন্তু আধ্যাত্মিক শক্তি এভাবে অর্থাৎ আল্লাহর জিকিরে অর্জন করতে হয়।

এই আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জিত হওয়ার পর এই পৃথিবীতে বসে মানুষ বিভিন্ন মাকামে সফর করতে পারে। তার রুহুকে ইচ্ছামতো পৃথিবীর ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন আলমে ও মাকামে সফর করাতে পারে। তাই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো আধ্যাত্মিক শক্তির অস্তিত্ব রয়েছে। প্রণিধানযোগ্য যে পৃথিবীতে যার সত্য প্রমাণিত ধারণা রয়েছে, তার অস্তিত্ব রয়েছে।

মোট ছয়টি ইন্দ্রিয়ের মধ্যে পাঁচটি ইন্দ্রিয় যথা চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক–এর সাথে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অর্থাৎ পৃথিবীর সাথে সম্পৃক্ত। আর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ও তৃতীয় নয়নের সাথে রুহ তথা আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পর্কযুক্ত। পৃথিবীর সব কিছু আমরা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগ ও উপলব্ধি করি ও আত্মা দিয়ে আমরা ঐশ্বরিক শক্তিকে উপলব্ধি করি। ঐশ্বরিক শক্তি আধ্যাত্মিক শক্তির মূল ও উৎস। যেমন কেহ একটি গান ইন্দ্রিয় দিয়ে শোনে, আবার কেহ আত্মা দিয়ে শোনে। গানের মাধুর্য কারো ইন্দ্রিয়ের ওপর আপতিত হয়, আবার কারো আত্মার উপর আপতিত হয়। যার ইন্দ্রিয়ের ওপর গান বা বাজনার প্রভাব আপতিত হয় অর্থাৎ ইন্দ্রিয়কে আকৃষ্ট করে, সে জগতে উদ্বেগ, ভাবাবেগ ও আবেগ দ্বারা পরিচালিত হয় এবং তা খারাপ পথে নিয়ে যেতেও পারে। আর এই গান বাজনা যে আত্মা দিয়ে উপলব্ধি করে বা আত্মা দিয়ে শুনে সে এর প্রভাব নিয়ে ঐশ্বরিক বা ঐশী পথে অগ্রসর হতে পারে বা তার ঐশ্বরিক শক্তি বলবান হতে পারে। যেমন একজন প্রেমের একটি গান যদি ইন্দ্রিয় দিয়ে শোনে তবে সে ব্যক্তি জৈব প্রেমে উদ্ভূত হতে পারে, আর যদি কেহ আত্মা দিয়ে ওই একই গান শোনে তবে সে আল্লাহর প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি রাহমাতুল্লাহে বাজনা ও এক প্রকার নাচের দ্বারা ঐশী প্রেমে মাতোয়ারা হতেন।

পাক কোরআনে উল্লেখ আছে মানুষের তিন প্রকার নফস: ‘নফসে আম্মারা’ যা পশুবৎ আত্মা, ‘নফসে লওয়ামা’ বা বুদ্ধিবৃত্তি আত্মা ও ‘নফসে মুতমাইন্না’ যা শান্তিময় আত্মা। নফসে আম্মারার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ পৃথিবী তথা আধ্যাত্মিক শক্তির পথে যেতেই পারে না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় তার অবস্থান এবং তারা দুনিয়ায় পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকে। দ্বিতীয় আত্মা মাঝপথে অবস্থান করে, অন্যায় ও পাপ করলে আত্মা নিজেকে ধিক্কার দেয় এবং উন্নতির পথে অর্থাৎ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে উপরে ওঠার চেষ্টা করে। তৃতীয় শান্তিময় আত্মা আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক শক্তির অনেক ঊর্ধে উঠে ঐশী প্রেমে মশগুল থাকে। মৃত্যুর পর এই তৃতীয় আত্মা বেহেশতবাসী হবে যা পাক কোরআনে ’সুরা ফাজর’-এর শেষ তিন আয়াতে উল্লেখ আছে ।

দেহ আধ্যাত্মিক শক্তির আওতায় থাকে, রুহু তেমনি ঐশী শক্তির আওতায় থাকে। মাধ্যাকর্ষণ ও আধ্যাত্মিক শক্তির স্রষ্টা আল্লাহ। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। পাক কোরআনে উল্লেখ আছে যে মহান আল্লাহ মানুষের সাহরগ হতেও অতি নিকটবর্তী। সুতরাং আধ্যাত্মিক শক্তি যেমন মানুষকে টেনে রেখেছে তেমনি মহান আল্লাহর শক্তি আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে অর্থাৎ পৃথিবীর সব জীব, বস্তু ও শক্তি আল্লাহর শক্তির আবেষ্টনের মধ্যে। আল্লাহর অস্তিত্ব সর্বত্র তা মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও আধ্যাত্মিক শক্তি উভয়ের মধ্যে রয়েছে।

লালন ফকির ঠিকই বলেছেন যে “সে আর লালন একখানে রয় লক্ষ যোজন ফাঁক রে”। লালন ও তার পড়সি একস্থানে বাস করে, কিন্তু তাদের মধ্যকার দূরত্ব সীমাহীন।

মানুষ বা জীবজন্তু যেমন মরণশীল এবং সকল বস্তু ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে এবং পৃথিবীও কেয়ামতের দিন লয় হবে, সে দিক থেকে চিন্তা করলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও একদিন নিঃশেষ হবে অর্থাৎ তার অস্তিত্ব থাকবে না। ফলে এ শক্তি চিরায়ত নয়।

পাক কোরআনে সূরা ’আর রাহমানে’ উল্লেখ আছে সবকিছু একদিন ফানা হবে কিন্তু মহান শক্তিমান আল্লাহর অস্তিত্ব স্থায়ীী থাকবে। কাজেই পৃথিবী ধ্বংসশীল এবং তার সাথে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কার্যকারিতা থাকবে না, কিন্তু রুহ অমর; তাই আধ্যাত্মিক শক্তি বিলীন হবে না। ঐশী শক্তি অর্জন করলেই আল্লাহর সাথে বিলীন হওয়া সম্ভব হতে পারে এবং তা চিরস্থায়ী। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর, তা মানুষের অর্জন করতে হয় না; কিন্তু ঐশী শক্তি অর্জন করতে হয়, আর এই শক্তি অর্জন করতে হলে ‘এলমে তাসাউফ’ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে মানুষের দেহের যেমন রোগ আছে, অন্তরেরও তেমনি রোগ আছে। দেহের রোগের জন্য যেমন ঔষধ আছে এবং তা প্রয়োগে দেহ সুস্থ হয়, তেমনি আল্লাহর দেওয়া বিধি-বিধান মেনে চললে আত্মিক রোগ দূর হয়ে যাবে।

তাই তাসাউফ বলতে বুঝায় মানুষের মন ও অন্তরের মধ্যে যে কালিমা, পাপ করার প্রবণতা, গর্ব অহংকার, হিংসা-দ্বেষ, লোভ-লালসা কাম-মোহ, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি রয়েছে, সেগুলো দূর করে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। আল্লাহর ভয় ও তার প্রেম তাসাউফের পথের সন্ধান দিতে পারে।

এক কথায় পশুবৎ তথা নফসে আম্মারার কর্মকা- বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর গুণে ভূষিত হওয়াকে তাছাউফ বলে। মহান সুফি হাসান বসরী রহমাতুল্লাহে বলেন, ‘একটি শস্য পরিমাণ আত্মিক বিশুদ্ধতা হাজার রাকাত নফল নামাজ ও হাজারটি নফল রোজার চেয়ে উত্তম।’

সূরা বাকারায় উল্লেখ আছে, ‘তোমরা আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হও। আল্লার রঙের চেয়ে সুন্দর রং কার আছে?’

সুতরাং আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জন করতে হলে মানুষকে আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হতে হবে, বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে হবে, সৎকর্মে লিপ্ত থাকতে হবে এবং আল্লাহর পথে চলতে হবে। প্রতিটি মুহূর্ত আল্লাহর স্মরণে কাটাতে হবে, তবে আল্লাহর রহমত হলে ঐশী শক্তি অর্জন করা যেতে পারে।

এ প্রসঙ্গে নিম্নে একটি গজল তুলে ধরা হলো। গজলটি আমার মামা কবির আহমদ কর্তৃক রচিত ১৯৩৮/৩৯ সালে রচিত। তিনি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন ও অনেক কবিতা, গান ও গজল রচনা করেছেন। তিনি সাতক্ষিরার আশাশুনি থানার অর্ন্তগত গুণাকরকাটি বিখ্যাত অলীর মুরিদ ছিলেন:

পিয়ারে খোদা নায়েবে রসুল পীরে কামেল মুরশিদ আমার,
দিবানিশি হৃদয়ে বসি শিখায় মোরে জিকির খোদার।।

যখন থাকি নীরবে বসে ঐ পীরের ছবি হৃদয়ে ভাসে,
সেই সে ছবির প্রেম পরশে দুলে ওঠে হৃদয় আমার।।

আল্লাহ আল্লাহ দেলে ডাকি ঐ পীরের ছবি দিল ফাঁকি,
তখন কেমন আরেক বেশে দেখি ছবি রসুল ও খোদার।।

আল্লাহ রাসুল মুরশিদ আমার তিন রূপেতে একই আকার,
আমাতে আমি থাকে না আর তখন আমি আপন ভুলে

রূপ সাগরে দেই সাঁতার।

# লেখক কবি, সাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!