বেনাপোলে মাদক বেচাকেনার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে করে পরিকল্পিতভাবে ইজিবাইক চালক সজীব গাজীকে হত্যা করা হয়েছে। গাঁজা সেবনের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) গ্রেফতারকৃত চারজনের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আটককৃতরা হলেন, শার্শা উপজেলার বড়আঁচড়া গ্রামের শামীম হোসেন ও আশরাফুল আলম রাব্বি, বড়আঁচড়া মাঠপাড়ার আজম হোসেন ও রাড়িপুকুর এলাকার জাহাঙ্গীর কবির। এদের মধ্যে শামীম ও রাব্বীকে বেনাপোল বলফিল্ড এলাকা হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকুসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে নিহতের নিকট থেকে নেয়া ইজিবাইক বিক্রিতে সহযোগিতায় জড়িত আজম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় শার্শার বাগআঁচড়া ময়ূরী সিনেমা হলের সামনে থেকে ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ব্রিফিং এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন। তিনি জানান, ১৮ অক্টোবর সকালে বেনাপোলের বড়িভাঙ্গা গ্রামের কাঁচারাস্তার পাশের ছকোর খালে তরিকুল ঢালির ধানী জমি থেকে সজীব গাজীর (১৯) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদ পেয়ে একই থানার গয়ড়া গ্রামের সহিদ গাজী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকৃত মৃতদেহটি তার বড় ছেলে সজীব গাজী বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই মুরাদ হোসেনকে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। এরপর হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত দু’জনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ে তাদের মধ্যে টাকা লেনদেনের ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইজিবাইক চালক সজিবকে হত্যা করেছে ঘাতকরা। সজীবকে গাঁজা সেবনের কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে চাকু দিয়ে গলায় পোচ দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার মৃতদেহ ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে ঘাতকরা ইজিবাইকটি নিয়ে গোপন করার উদ্দেশ্যে তাদের সহযোগীদের নিকট রাখে। বৃহস্পতিবার আটক ৪ জনকে আদালতে হাজির করা হলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি