মহামারী করোনাভাইরাসের জন্য অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ৪২৫ টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় কম দামে অল্প সময়ে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। শনিবার (২ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ ৫ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৪২৫ টাকা) খরচে পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শিগগিরই অনুমোদন দেবে। এ ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৬ কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের অর্ডার নিশ্চিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও অর্ডার দেয়া হবে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ৩ কোটি ডোজই পাওয়া যাবে, প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ আসবে। জানুয়ারি মাসেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে আসবে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রথম চালানের ভ্যাকসিন প্রথম কাদের দেয়া হবে, সে বিষয়ে তালিকা প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভ্যাকসিন দেয়ার পরও মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার তাগিদ দেন।
এদিকে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কিনতে রোববার অগ্রিম টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে রোববার ছয়শ’ কোটি টাকার বেশি টাকা জমা দেয়া হবে। এর বিপরিতে সেরাম ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ সরকারকে একটি ব্যাংক গ্যারান্টি পত্র দেবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এসব তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতের বৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইন্সটিটিউট অগ্রিম হিসেবে এই টাকা নেবে। বাকি টাকা ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু করার পর দিতে হবে। করোনা ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তির ধারা অনুযায়ী সেরাম ইন্সটিটিউট আগামী জুনের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে না পারলে বাংলাদেশে এই অগ্রিম টাকা ফেরত নেবে।
শনিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। সুতরাং ভারতের ওই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
খুলনা গেজেট / এআর