মাগুরা জেলা কারাগারে সুফিয়া বেগম সাথি (৪০) নামে হত্যা মামলার হাজতি আসামী গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিজের ৩ বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ৩ মাস ধরে হাজত বাস করছিলেন। ঘটনার পর গতকালই ডিআইজি প্রিজন ও মাগুরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রৈট মাগুরা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
কারাগার সুত্রে জানা গেছে , নিজ কন্যা হত্যার দায়ে দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে সে গত ৮ মার্চ মাগুরা জেলা কারাগারে আসে। সে মানসিক অসুখে ভুগছিল। গত ১৫ মার্চ থেকে ২ মে পর্যন্ত সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিল। পরবর্তীতে তাকে আবার মাগুরা জেলা কারাগারের নারী ওয়ার্ডে এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে গোসল করার কথা বলে নারী ওয়ার্ড সংলগ্ন একটি ছোট কয়েদখানায় গিয়ে লোহার দরজার ওপরের দিকের গ্রিলে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সে মারা যায়।
মাগুরা কারাগারের জেলার রিতেশ চাকমা জানান, উক্ত মহিলা মানুসিক অসুখে ভুগছিলেন। সে কারাগারে আত্মহত্যা করেছেন। ডিআইজি প্রিজন ও মাগুরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রৈট মাগুরা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
প্রসঙ্গত, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহসহ নানা কারনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুফিয়া গত ৮ মার্চ মাগুরা শহরের হাজী আব্দুল সড়কের একটি বাসায় তার ৩ বছরের নিজ শিশুকন্যা মাহিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুণ লাগিয়ে সে নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার হয় সুফিয়া। একই রাতে নিহত মাহির চাচা তমিজউদ্দিন বাদি হয়ে মাগুরা সদর থানায় সুফিয়ার নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
খুলনা গেজেট/এআইএন