সামাজিক দলাদলির জেরে প্রকাশ্যে এক যুবকের চোখ তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার চর বড়রিয়া গ্রামে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার সময় আনিচুর রহমানের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে বলে জেনেছে পুলিশ।
ওই যুবকের নাম জিল্লুর রহমান। তিনি দলিল লেখকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’
আহত যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে জিল্লুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাসরিন আখতার বলেন, ‘তার বাম চোখের গভীরে কয়েকবার আঘাত করা হয়েছে। ভালো চিকিৎসা দরকার তাই ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন।’
স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বালিদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু মিয়ার সঙ্গে জিল্লুর রহমানের বিরোধ ছিল। এরই জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন জিল্লুর চোখ খুঁচিয়ে দেয়। কিছুদিন আগেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল।
জিল্লুর ভাই ইয়ারুল অভিযোগ করে বলেন, ‘সোমবার সকালে জিল্লু বাড়ি থেকে বের হয়। চড় বড়রিয়া গ্রামের আনিচুর রহমানের বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে খাতা সেলাই করার ভোমর দিয়ে চোখে খোঁচানো হয়।
‘জিল্লুর চিৎকার করলে হামলাকারীরা তখন পালিয়ে যায়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে নেয়া হয় ফরিদপুর হাসপাতালে।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে পান্নু মিয়াকে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। তবে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
গ্রাম্য মাতব্বর নান্নু বিশ্বাস বলেন, ‘জিল্লু মাগুরায় দলিলের কাজ করতেন। সকালে কাজে বের হয়েছিলেন। একই গ্রামের কয়েকজন হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এ সময় একটি চোখ তুলে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।’
এ বিষয়ে বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মিনা বলেন, ‘আমি সকালে ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। এ ঘটনায় কোনো গ্রুপ যেন বাড়িঘরে হামলা না করে। এর বেশি কিছু জানি না।’
খুলনা গেজেট/ এস আই