মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের হামলায় ও পুলিশের শর্টগানের গুলিতে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ৫টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৫ মার্চ) উপজেলার উরুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য মনিরুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য লিয়াকত মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। দুই দিন আগে স্থানীয়ভাবে ওয়াজ-মহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের এক পর্যায়ে আজ শনিবার (৫ মার্চ) দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে কত রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
ঘটনার বিষয়ে ইসলাম মোল্লা ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই গ্রামবাসীর অভিযোগ, মনিরুল মেম্বার অতর্কিতে সাবেক মেম্বার লিয়াতক মোল্লার লোকদের ওপর হামলা করেছে। একইভাবে পুলিশ এনে লিয়াকতের সমর্থকদের ওপর গুলি চালিয়েছে। প্রতিপক্ষ তাদের ৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান জানান, সংঘর্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তারা রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলিতে আহত হয়েছেন। তবে হাসপাতালে ভর্তি সবাই শঙ্কামুক্ত।
খুলনা গেজেট/এএ