খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  কুয়েটের শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে বিকাল ৩টায়, দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা

মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার শুরু হবে ৭ দিনের মধ্যে

গেজেট ডেস্ক

আগামী সাত দিনের মধ্যে মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ের আইন মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান আইন উপদেষ্টা।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা আজকেই শিশুটির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আছিয়ার মরদেহ দাফনের জন্য মাগুরায় নিয়ে যাওয়া হবে হেলিকপ্টারে করে। মরদেহ এবং তার পরিবারের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার যাবেন। তিনি সেখানে দাফন পর্যন্ত থাকবেন।

তিনি বলেন, ডিএনএ স্যাম্পল কালেকশন করা হয়ে গেছে, আশা করি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাব। এরই মধ্যে ১২-১৩ জনের ১৬১ ধারায় (দণ্ডবিধি) স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী সাত দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো কালক্ষেপণ করেনি। দ্রুত সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞেসবাদ করেছে। ধর্ষণের ঘটনা আন্দোলনের নামে ভিন্ন কিছু করতে চায় কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে।

এর আগে, দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি। তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

উল্লেখ্য, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে। ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর আছিয়াকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আছিয়াকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু আছিয়া।

ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন আছিয়ার মা। এতে বোনের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ভাসুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

 

খুলনা গেজেট/এমএম/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!