রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান বুধবার (৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিল থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছিল। পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল।
রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায়, থাকেন গাজীপুরে। তিনি নেত্রকোণার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক।
এদিকে আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজত ইসলাম নেত্রকোনা জেলা শাখা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নেত্রকোনা প্রেসক্লাব ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার শাখার সদস্য মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া, চাচাতো ভাই নজরুল ইসলামসহ হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বড় ভাই রমজান মিয়া বলেন, মাদানী গত সোমবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিকান্দা গ্রামে আসে। মঙ্গলবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ওয়াজ মাহফিল শেষে রাতে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে দিবাগত রাত ২টার দিকে র্যাব পরিচয়ে বেশ কয়েকজন বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি চাই। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আগামীকাল মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম