খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  যাত্রাবাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে দুই পুলিশ আহত
  জুলাই গণহত্যা : ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

মশিয়ালীর ট্রিপল মার্ডারে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবীতে প্রতিবাদ সভা

ফুলবাড়িগেট প্রতিনিধি

খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামের মিল শ্রমিক নজরুল, কলেজ ছাত্র সাইফুল ও দিনমুজুর রসুল হত্যায় জড়িত বহিষ্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা জাকারিয়া হোসেন তার ভাই বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাফরিন ও শেখ মিল্টন সহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলের দ্রুত বিচার এবং হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দাবীতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় ইষ্টার্ণগেট সংলগ্নে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহত্তর মশিয়ালী গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম রেজওয়ান আলী, ওয়াকার্স পাটির সম্পাদক সাত্তার মোল্যা। ইউপি সদস্য এস এম বখতিয়ার পারভেজের সভাপতিত্বে এবং বাবুল রেজার পরিচালনায় বক্তৃতা করেন, আমিরুল সরদার, আনোয়ার সরদার, সালাম গাজী, তাবিবুর রহমান, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মোসা রাজিয়া, রওশন সরদার, আঃ হালিম, মোঃ রবিউল, মোঃ ই্উসুফ গাজী, আবুল কাশেম, মকবুল মোড়ল, বাবুল শেখ প্রমুখ।

উল্লেখ্য মশিয়ালী গ্রামের একটি মসজিদ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সভাপতির পদ থেকে শেখ জাকরিয়াকে পদত্যাগ করতে বলে মিল শ্রমিক মুজিবরসহ মসজিদের মুসল্লিগণ। সকলের দাবীর মুখে বাধ্য হয়ে পদ থেকে সরে দাড়াতে সম্মত হয়ে ১৭ জুলাই শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এর আগে ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে জাকারিয়া ও তার ভাইয়েরা অস্ত্র দিয়ে মিল শ্রমিক মুজিবরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর উপর জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টন বাহিনী নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মো, নজরুল ইসলাম(৬০) একই এলাকার মো. ইউনুছ আলীর ছেলে গোলাম রসুল(৩০) এবং পরে গুলিবিদ্ধ এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে আটরা মেট্রো টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র সাইফুল ইসলাম(২২) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আফসার শেখ, শামিম, রবি, খলিলুর রহমান, মশিয়ার রহমানসহ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় নিহত কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলামের পিতা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৮ জুলাই মামলা দায়ের করেন(মামলা নং ১২ তাং ১৮/৭/২০)। মামলায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-প্রচার সম্পাদক শেখ জাকারিয়া হোসেন, তার ভাই মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন ও মিল্টন সহ ২২ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫/১৬জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন।

খুলনা গেজেট/কেএম

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!