খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামের জিহাদ হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। বুধবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের চাচাতো বোন নুপুর আক্তার।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০২০ সালের ১৬ জুলাই মশিয়ালী সিএন্ডবি মাঠ থেকে গুলিসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় মজিবুর রহমান ফকির। এ সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি নিয়ে জাকারিয়াকে সন্দেহ করা হয়। সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের নিকটতম আত্মীয় স্বজনের প্রায় ২০ ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। নারী ও শিশুরা তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ভাংচুর চলাকালীন সময়ে চাচাতো ভাই জিহাদ শেখকে সামনে পেয়ে কুপিয়ে ও মারপিট করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জীবনরক্ষার্থে পুরুষেরা বাড়ির পেছন থেকে পালিয়ে যায়। জাফরিনের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রীকেও রেহাই দেয়নি সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় তিনি বাম হাতের একটি আঙ্গুল হারান। ওই সময়ে সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। তাদের তান্ডব লীলায় তিনজনের মুত্যু হয়। যার দায়ভার চাপানো হয় পরিবারের নিরাপরাধ ১৮ জনের উপরে। যাদের অধিকাংশ কারাগারে।
নিহত জিহাদের পিতা ২৩ আগস্ট ৪৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ দেড় বছরেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বরং মুক্ত অবস্থায় তারা ঘোরাফেরা করছে। মামলা তুলে নিতে পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তনাধীন রয়েছে। তাদের ভূমিকাকে রহস্যজনক বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন ত্রিপল মার্ডারের যদি বিচার হয় তাহলে আমার ভাই জিহাদ হত্যার বিচার হবে না কেন?
খুলনা গেজেট/এনএম