খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৫
  বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় আবারও ফেল সাকিব আল হাসান, এক বছরের জন্য বল করতে পারবেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
  নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচন: সিইসি

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে প্রায় তিন হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনে। এছাড়া আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর মরক্কোর কিছু অঞ্চলের গ্রামবাসীরা সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছেন।

গত শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১.১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির আঘাত হানা সবচেয়ে বড় এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই এবং সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তা প্রায় ২৯০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া হতাহতদের উদ্ধারসহ জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য মরক্কোর প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে স্পেন, ব্রিটেন এবং কাতারের অনুসন্ধান দল।

সোমবার গভীর রাতে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৬২ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬২ জনে। এছাড়া ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চলের বেশিরভাগই দুর্গম হওয়ায় নিখোঁজ মানুষের কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের আঘাতে টিনমেল গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘর ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এবং গ্রামবাসীদের সবাই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। গ্রামের বিভিন্ন অংশে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অসংখ্য মৃত পশুর দুর্গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।

৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মাদ আলহাসান জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি তার পরিবারের সাথে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। ভূমিকম্প শুরু হলে তার ৩১ বছর বয়সী ছেলে বাইরে পালিয়ে যায় এবং তাদের প্রতিবেশীর ছাদ ধসে পড়ায় সেখানে তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন।

আলহাসান বলেন, সাহায্যের জন্য চিৎকার করার পর তিনি তার ছেলের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু অবশেষে ছেলের কাছে পৌঁছালেও তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আলহাসান এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের বাড়িতেই ছিলেন এবং বেঁচে যান।

আলহাসান বলেন, ‘সে (ছেলে) যদি বাড়ির ভেতরেই থাকত তবে সে ঠিক থাকত।’

টিনমেল এবং অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, তারা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে উদ্ধার করেছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্প ছিল দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি মরক্কোতে গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!