খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজন নিহত
  মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭
  সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ

মন্ত্রী হচ্ছেন পাপন, বিসিবির সভাপতি হচ্ছেন কে ?

গেজেট ডেস্ক

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হাসান পাপন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নির্বাচিত হন তিনি। এবার বিজয় হয়েই মন্ত্রীত পেতে যাচ্ছেন পাপন।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঘোষিত মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছে বিসিবি সভাপতির নাম। ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে পাপনও একজন। পাপনের নাম ঘোষিত হওয়ার পর আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলোচনায়- পাপন বিসিবি সভাপতি পদে থাকছেন তো?

যদিও মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে বিসিবি সভাপতি থাকার বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে পাপনের।

ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না, এমন কোনো নিয়ম নেই বাংলাদেশের সংবিধানে। ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছে। এর আগে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতির তালিকায় থাকা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রিত্ব এবং বোর্ড সভাপতি উভয় পদেই একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদের মধ্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৮৭-৯০ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন। ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। বোর্ড সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী উভয় পদে আনিস মাহমুদের উত্তরসূরি আবু সালেহ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে তিনি নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন।

এদিকে, নব্বইয়ের দশকে বিসিবি সভাপতিদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। ২০০১ সাল পরবর্তী সময়ে কোনো মন্ত্রী বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেননি। আ হ ম মোস্তফা কামাল বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

বর্তমানে ক্রিকেটে জনসম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তি অনেক বেশি। তাই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ডও সামলানোটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে পাপনের জন্য। দুটি বড় দায়িত্ব সামলানো কঠিন বিধায় তিনি বিসিবি সভাপতি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা ক্রীড়াঙ্গনের।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!