রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ডিবির সদস্যরা। এ সময় ছাত্রদলসহ বিএনপি সহযোগী সংগঠনের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে আসেন ডিবির সদস্যরা। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, তাঁরা বিএনপির কার্যালয়ে তল্লাশি চালাবেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে ঢোকেন ডিবির সদস্যরা।
অভিযান শেষে হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির কার্যালয়ের ভেতর থেকে শতাধিক ককটেল, ৫–৬ বোতল পেট্রল, বিপুলসংখ্যক লাঠিসোঁটা ও ৬০টি দেশি–বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় ছাত্রদলসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণও রয়েছেন।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যারা অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্র করছে, তাদের সবার নাম-নম্বর আমরা পেয়েছি। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। অফিসগুলোতে লাঠিসোঁটা কেন রেখেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের তা জিজ্ঞেস করা হবে।’
পরে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকার অন্যায়ভাবে বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে। কার্যালয় থেকে যেসব সরঞ্জাম পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা আসলে পুলিশের চাতুর্য।
খুলনা গেজেট/এইচ