যশোরের মণিরামপুরে একদিনের ব্যবধানে বাল্যবিয়ের শিকার এক স্কুলছাত্রীসহ দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহতদের স্বামী পরিবারের দাবি পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার সোনাডাঙ্গা ও মাছনা-বেগমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মণিরামপুর থানার এসআই আক্তারুল ইসলাম জানান শনিবার (৬ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের রনি মল্লিকের স্ত্রী আরজিনা খাতুন শারমীন (১৩) স্বামীর বাড়ীর বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
আট মাস পূর্বে যশোর কোতয়ালীর তফসিডাঙ্গা এলাকার ফজর আলীর কন্যা স্কুল ছাত্রী আরজিনা খাতুনকে মণিরামপুর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের রনি মল্লিকের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শশুরবাড়ীর অন্যান্যদের সাথে বিভিন্ন সময় মনোমালিন্যের জের ধরে আরজিনা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, উপজেলার মাছনা-বেগমপুর গ্রামের জামাল গাজীর স্ত্রী তানিয়া খাতুন (২০) শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বামীর বাড়ীর বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
থানার এসআই শেখ আশরাফুল আলম জানান, খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ী থেকে তানিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। শশুর বাড়ী থেকে বেড়াতে পিতৃলয়ে যেতে না দেয়ায় স্বামীর উপর অভিমান করে গৃহবধূ তানিয়া আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মণিরামপুর থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, দুই গৃহবধূর কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা পরিস্কার হওয়া যাবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর।
খুলনা গেজেট/ টি আই