মণিরামপুরে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আটক রেখে স্বামী পরিত্যক্তা যুবতী (১৭) কে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলের নৈশ প্রহরী আতাউর রহমান (৩৪) কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা অনেকটা সাজানো হতে পারে বলে দাবি করেছেন আটক আতাউরের পরিবারসহ স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশকে জানায় সন্ধ্যার পর ওই স্কুলের অফিস কক্ষে এক নারীর সাথে আতাউর নামে এক যুবককে এলাকার জনগণ আটক করে রেখেছে। এক পর্যায় কয়েক’শ জনতার উপস্থিতিতে ওই যুবককে উত্তম-মাধ্যমও দেয়া হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনরোষের কবল থেকে ওই নারীকে উদ্ধারসহ যুবককে আটক করে রাতে থানায় আনা হয়। ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেন গ্রামের এক ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলের পাশ থেকে ধরে নিয়ে আতাউর তাকে স্কুলের অফিস কক্ষে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে শ্যামনগর গ্রামের আলী মনছুরের পুত্র আতাউরকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বাদী ও আসামীর বাড়ি একই গ্রামে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, আতাউর শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী। এদিকে আতাউরের পরিবারের দাবি তার নৈশ প্রহরী নিয়োগ দিয়ে এলাকার কিছু ব্যক্তি নানা ষড়যন্ত্র মাথায় নিয়ে তার উপর ক্ষেপে রয়েছে। জানা যায় মামলার বাদী স্বামী পরিত্যক্তা ওই যুবতী বর্তমানে পিতার বাড়ীতে থেকে নওয়াপাড়া এলাকায় একটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হান্নান জানান, বাদী ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম