যশোরের মণিরামপুরে গভীর রাতে পিক-আপ যোগে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসী ধারালো অস্ত্র ও পিক-আপসহ ৩ জনকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গত রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কোমলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটক তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। আটকদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আটকরা হলো বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার কোমলা গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র মিজানুর রহমান মিজান (৩৪) ,ফকিরহাট উপজেলার লকপুর গ্রামের গোলজারের পুত্র রিপু হোসেন (৩০) এবং একই উপজেলার মাসকাঠি গ্রামের মোহাম্মদ শেখের পুত্র জামাল হোসেন (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় একটি পিকআপ খুলনা মেট্রো-ন-১১-০৮১৪ মণিরামপুর উপজেলার কোমলপুর বাজার পার হওয়ার সময় প্রথমে ডিউটিরত নৈশপ্রহরীরা সন্দেহ করে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে ভিতরে থাকা ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তারা জানায়, পিকআপে করে মাছ নেওয়ার জন্য এই এলাকায় এসেছে। কিন্তু মাছ বহনকরার ড্রাম অথবা অন্য সরঞ্জাম না থাকায় তাদের প্রতি সন্দেহ বেড়ে যায়। এক পর্যায় গাড়ি তল্লাশি করে লম্বা দড়ি ও কিছু ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এরপর নৈশ প্রহরীরা চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আটকদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকাআপসহ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, পিকআপটি থানায় আনার পর তা তল্লাশি করে ২টি ধারালো দা ও লোহার রড পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এসআই জিয়াউল হক বাদী হয়ে সোমবার ১৯ অক্টোবর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মণিরামপুর থানার মামলা নং- ১৪। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয়েছে এসআই দেবাশীষ কুমারকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আটক ৩জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা উক্ত এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে, মামলার এজাহারে পুলিশ তিনজনের নাম উল্লেখ করলেও এলাকাবাসীর দাবী তাদের সাথে আরো এক কিশোর ছিল। ডাকাতির প্রস্তুতির ধারায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
খুলনা গেজেট/কেএম