করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মডার্নার টিকাসহ আটক প্যারামেডিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারের নামে দক্ষিণখান থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় নাম উল্লেখ ছাড়া আসামি করা হয়েছে আরও দুই থেকে তিনজনকে।
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া বৃহস্পতিবার সকালে জানান, আটক প্যারামেডিককে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে ওই প্যারামেডিককে আটক করে দক্ষিণ খান থানা পুলিশ। আটকের সময় তার কাছ থেকে মডার্নার টিকার দুটি কাচের শিশি (ভায়াল) জব্দ করা হয়। তিনি অবৈধভাবে মানুষকে টিকা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
টিকা বিতরণের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া মডার্নার ২৫ লাখ ডোজের প্রয়োগ দেশে শুরু হয় ১৩ জুলাই।
আজিজুল হক মিয়া বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, ফার্মেসিতে বসে করোনারোধী মডার্নার টিকা অবৈধভাবে দেয়া হচ্ছে। আমরা অভিযান পরিচালনা করে তার (বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার) কাছ থেকে দুটি বোতল (ভায়াল) পাই। একটা খালি এবং একটাতে কিছু পরিমাণে টিকা রয়েছে। ফার্মেসি থেকে একটি বোতল এবং তার বাসার ফ্রিজ থেকে একটি বোতল জব্দ করা হয়। টিকা রাখার বক্স পাই ২১টি। বোতলের মধ্যে মডার্নার টিকা ছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি।
বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি পল্লি চিকিৎসার ট্রেনিং নিয়েছেন। তবে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার একজন প্যারামেডিক। তিনি একটি প্রাইভেট ক্লিনিক পরিচালনা করেন। সেটার নাম দরিদ্র পারিবারিক সেবা সংস্থা ক্লিনিক।
তার কাছে কীভাবে এই টিকা এসেছে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা। তবে বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার সরকারি টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত থাকা অবস্থায় বা পরবর্তী সময়ে এই টিকা সরানো হয়েছে কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম