খুলনা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মঞ্জুরুল ইমামকে ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। তাকে বিএনপি-জামায়াত আদর্শিক মতবিরোধের কারণে হত্যা করে। তিনি একজন ধার্মিক কিন্তু অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সকলের সাথে ক্ষীণ কন্ঠে আদবের সাথে কথা বলতেন। তাকে হত্যা করা শুধুমাত্রই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ ছিলো সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য। সে সময় বিএনপি জামায়াত জোট স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে জিঘাংসায় মেতে ছিলো। সেই জিঘাংসার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বনামধন্য মেধাবী রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারপতিসহ বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশের ধারাবাহিকতায় বিএনপি-জামায়াত খুলনায় সততার প্রতীক এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করে।
শুক্রবার ( ২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর শোক সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এ্যাড. রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা।
এসকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, এ্যাড. রজব আলী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মো. আশরাফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জামাল, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, কামরুল ইসলাম বাবলু, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. খায়রুল আলম, নুর মোহাম্মদ শেখ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, মনিরুল ইসলাম বাশার, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, আজগর বিশ্বাস তারা, এস এম আকিল উদ্দিন, শিউলি সারোয়ার, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. শফিউল আলম, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, কাজী এনায়েত আলী আলো, ফেরদৌস হোসেন লাবু, চ. ম. মুজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, মো. নুর ইসলাম, শেখ ফারুক হোসেন, মো. আসলাম আলী, মো. জাকির হোসেন, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. ইউসুফ আলী খান, মো. শাহজাহান জমাদ্দার, মীর মো. লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব মিয়া, সফিকুর রহমান পলাশ, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, শেখ আবু হানিফ, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, ইঞ্জিঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ, এম এম আসাদুজ্জামান রাসেল, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, মো. ইমরান হোসেন, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, খান সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, ড. সাঈদুর রহমান, পারভিন ইলিয়াছ, নুরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, নাসরিন আক্তার তন্দ্রা, হাবিবুর রহমান দুলাল, গোপাল সাহা, এ বি এম কামরুজ্জামান, মো. কামরুজ্জামান, মো. রুহুল আমিন খান, এ্যাড. আল আমিন উকিল, মল্লিক নওশের আলী, আব্দুল হালিম, আব্দুল মজিদ, সঞ্জয় কর্মকার, নজরুল ইসলাম, জেসমিন সুলতানা শম্পা, পারভিন হাসমত, লিভানা পারভিন, সৈয়দা হেনা বেগম, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, রেজওয়ানা প্রধান, মেহজাবিন খান, কবীর পাঠান, শেখ শরীফ উল্লাহ, মোঃ ইকবল হোসেন, শেখ আরিফ উল্লাহ, শেখ হাসান বখতিয়ার বাকু, মোঃ রফিকুল ইসলাম খান মুকুল, তপন বালা, শেখ শরিফুল ইসলাম, মোঃ আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, শেখ মিরাজুল ইসলাম, এস এম জহিরুল আলম রিয়াদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ সাজেদুল হক শামীম, মানু মিঞা, ওয়াসিম আকরাম, জিয়াউল ইসলাম জীবন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, শেখ আহসান উল্লাহ মুক্ত, শেখ তরিকুল ইসলাম, শেখ হাসান মাহামুদ টোটন, শেখ ফিরোজ আহমেদ, শেখ মোঃ হুমায়ন কবির হিমু, মোঃ আলাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর বন্ধ, আসলাম মল্লিক, শেখ শাহিন, হাবিবুর রহমান, শেখ হাসান, নোমান ঢালী, লুৎফুন নাহার লিলি, রেশমা খাতুন, সুমি হালদার, তানজিমা শরীফ রাখি, মেরি মালাকার, ফাতেমা বেগম, লাবনী হাওলাদার, দিলরুবা আক্তার টপি, রুমা খাতুন, রাজিয়া সুলতানা, রুপা চৌধুরী, ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান বাবু, জহির আব্বাস, ইবনুল হাসান, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সৈয়দ সালমান জামান, জনি বসু, রুম্মান আহমেদ, শংকর কুন্ডু, রাহুল শাহরিয়ারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
সভার শুরুতে মরহুম এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শোক সভা শেষে মরহুম এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আব্দুর রহীম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
এর আগে সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয় হতে শোক র্যালী শুরু হয়ে শামছুর রহমান রোডের এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকাল ১০টায় বয়রায় মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়। জিয়ারত শেষে মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শামছুর রহমান রোডস্থ মতি জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি