সাতক্ষীরার ভোমরায় কথিত আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির নামে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন শুরু হয়েছে। অবৈধভাবে এই টাকা উত্তোলন বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ (সিএন্ডএফ)। একই সাথে উক্ত চাঁদা না দেওয়ার জন্য সকল সিএন্ডএফ সদস্যগণকে অনুরোধ করা হয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দরে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সিএন্ডএ নেতৃবৃন্দ রোববার (১৩ নভেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বরাবর ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকছুদ খান স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়েছে, ১২ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাকক্ষে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজুর এর সভাপতিত্বে ও সাতক্ষীরা চেম্বার সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠুর সমন্বয়ে কথিত ভোমরা আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতি কর্তৃক অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন বন্ধকরণ বিষয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আমির হামজা, সাংগঠনিক, বন্দর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দিপংকর ঘোষ, অর্থ সম্পাদক মোঃ আধু মুছা, কার্যকরী সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু।
সভায় উপস্থিত সকলের পক্ষ থেকে জোর দাবী জানানো হয় যে, ভোমরা আমদানি রপ্তানিকারক সমিতি’র নামে বন্দর থেকে অবৈধভাবে যে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া আরো দাবী জানানো হয় যে, উক্ত বিষয়ে এমপি, ডিসি, এসপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে। অন্যথায়, এ কারণে ভোমরা স্থলবন্দরে কোন ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তার কোনপ্রকার দায়ভার গ্রহণ করা হবে না।
এব্যাপরে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ভোমরার কথিত আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির নামে টাকা আদায় করা হচ্ছে। কথিত ওই সমিতির কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। এছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন বন্দরেও এ ধরনের কোন সংগঠনের নামে চাঁদা তোলার কোন নজীর নেই। কিন্তু ভোমরায় আমদানীকৃত ট্রাক থেকে ২০০ টাকা এবং রপ্তানীর ট্রাক থেকে ৫০ টাকা করে শনিবার (১২ নভেম্বর) থেকে আদায় করা শুরু হয়েছে। এরফলে আমদানী রপ্তানীর ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ী বিপাকে পড়বে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, স্বার্থান্বেষী একটি চক্র ভোমরা বন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির নাম দিয়ে ট্রাকপ্রতি ৩শ’ টাকা আদায় করছে। অবিলম্বে চাঁদা আদায় বন্ধ না হলে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য ভোমরা আমদানি-রপ্তানীকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানের কাছে ফোন দেওয়া হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খুলনা গেজেট/ টি আই