ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পাতানো নির্বাচন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন খুলনার বিভাগীয় শ্রম আদালত। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এডহক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার আশরাফুল ইসলাম, সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন আকবর ও সদস্য আব্দুস সালামকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ফরহাদ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী অহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে বিভাগীয় শ্রম আদালতের বিচারক খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই নিষেধাজ্ঞার পিটিশন দাখিল করলে, বিজ্ঞ বিচারক (১৬ মে) এই কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। দায়িত্বশীল সূত্র এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
আবেদনকারী অহিদুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেছেন, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ নির্বাচনী সাধারণ সভায় গত ২৫ এপ্রিল তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ৯ মে ছিল মনোনয়নপত্র সরবরাহের নির্ধারিত দিন। কিন্তু ঐদিন নির্বাচন কমিশনের জন্য নির্ধারিত সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনের নির্ধারিত কক্ষে তারা অনুপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে এসে সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কমপক্ষে ১৫ জন সদস্য নির্বাচন কমিশনের অনুপস্থিত ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে খালি হাতে বিষন্ন বদনে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন।
প্রসঙ্গত, সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী দলীয় সিএন্ডএফ এজেন্টের সমন্বয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠনের জন্য একজন এমপি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রীর এই পরামর্শ কেউ আমলে নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে পাতানো নির্বাচনে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে বিএনপিপন্থী ও সাধারণ সম্পাদক সহ আরো তিনটি পদে হাইব্রিডের পুনর্বাসন করা হয়েছে। যার কারণে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগপন্থী সহ কমপক্ষে ১৫ জন সাধারণ সিএন্ডএফ এজেন্ট মনোনয়ন সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়।
অপরদিকে, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি একে ফজলুল হক এক বিবৃতিতে পাতানো নির্বাচনে বিএনপি ও হাইব্রিডের পুনর্বাসনের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানিয়েছেন।