দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়াম লীগের প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবং সমর্থকদের ওপর হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোট প্রভাবিত করার মতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকরা ও সাধারণ ভোটাররা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছে। অবস্থাদৃষ্টে এমন মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া ভোটের মাঠে আর কেউ থাকতে পারবে না।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, লালমনিরহাট-২ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলছে। সিলেটে নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ রকম অনেক ঘটনা সারাদেশে ঘটছে। তবে রংপুরে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘটার সম্ভাবনাও নেই। রংপুর ভালো আছে।
তিনি আরও বলেন, রংপুরবাসী নিজেদের বঞ্চনার শিকার ও বৈষম্যের শিকার মনে করেন। এ জন্যই তারা মনে করেন জাতীয় পার্টি যদি শক্তিশালী হয় তাহলে রংপুরের উন্নয়ন যেমন হবে, তেমনি বঞ্চনা ও বৈষম্য থেকে রক্ষা পাবেন তারা। আমি নির্বাচিত হলে রংপুরের প্রত্যাশিত উন্নয়ন উপহার দেব।
এ সময় জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাবেক ভিপি আলাউদ্দিন মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবুসহ জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের (লাঙল) ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম) এবং তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুর সদর ও সিটি কর্পোরেশনের ৯ থেকে ৩৩নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন।
খুলনা গেজেট/ টিএ