যশোরের দু’টি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নে এক হাজার পাঁচশ’ ৩০ জন প্রার্থীর ভোটযুদ্ধ আগামীকাল বুধবার। এবারের নির্বাচনে ছয় লাখ সাত হাজার ছয়শ’ ৯৬ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২৬ টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে পাঁচ হাজার তিনশ’ ৪১ জন কর্মকর্তা। তিনশ’ ১৯টি কেন্দ্রের এক হাজার ছয়শ’ ৭৪টি কক্ষে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেবেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পঞ্চম ধাপে যশোর সদর উপজেলার ১৫টি ও কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে চার লাখ ২১ হাজার সাতশ’ ৩১ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ দু’ লাখ ১২ হাজার সাতশ’ ৫৮ ও মহিলা ভোটার দু’ লাখ আট হাজার নয়শ’ ৭৩ জন। এই উপজেলায় দুশ’ ১৫টি কেন্দ্র রয়েছে। ভোট কক্ষ রয়েছে এক হাজার একশ’ ৬৬টি। এরমধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ এক হাজার একশ’ ৬৪ ও অস্থায়ী কক্ষ দু’টি।
সদর উপজেলায় মোট তিন হাজার সাতশ’ ১৩ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রয়েছেন দুশ’ ১৫ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এক হাজার একশ’ ৬৬ জন এবং পোলিং অফিসার দু’হাজার তিনশ’ ৩২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বর ও পুরুষ মেম্বর প্রার্থী মিলিয়ে নয়শ’ ৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮১, সংরক্ষিত মেম্বর পদে একশ’ ৮৫ ও সাধারণ মেম্বর পদে সাতশ’ একজন ভোট যুদ্ধে নেমেছেন।
সদর উপজেলার একমাত্র নওয়াপাড়া ইউনিয়নে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইভিএম বোঝাতে সোমবার নওয়াপাড়া ইউনিয়নে মক ভোট গ্রহণ করা হয়। এই ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাদল চন্দ্র অধিকারী জানান, ইউনিয়নের ১৯টি কেন্দ্রে ভোটারদের ইভিএম বোঝাতে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয় (প্রাকটিস করানো হয়)। সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এ মক ভোটগ্রহণ চলে। তবে, কতজন মক ভোটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন তা জানাতে পারেননি রিটার্নিং অফিসার বাদল অধিকারী।
কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৮৫ হাজার নয়শ’ ৬৫ জন। এরমধ্যে ৯৪ হাজার দুশ’ আটজন পুরুষ ও ৯১ হাজার সাতশ’ ৫৭ জন মহিলা। একশ’ চারটি ভোটকেন্দ্রের পাঁচশ আটটি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে কেশবপুরে সর্বমোট এক হাজার ছয়শ’ ২৮ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন একশ’ চারজন। এছাড়া, পাঁচশ’ আটজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও এক হাজার ১৬ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।
কেশবপুরের ১১ টি ইউনিয়নের নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন পাঁচশ’ ৬৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪৮, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একশ’ ২২ ও সাধারণ ওয়ার্ডে তিনশ’ ৯৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচন অফিসের তালিকায় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নির্ধারণ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা করে জানালে নির্বাচন অফিস থেকে বলা সম্ভব হবে।
এদিকে, আগামীকালের নির্বাচন নিয়ে অনেকের মধ্যেই শঙ্কা বিরাজ করছে। অনেক প্রার্থীর অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি তৎপর না হয় তাহলে কোনো কোনো প্রার্থী নানাভাবে অপতৎপরতা চালাবেন। যাতে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হবে।