আন্তর্জাতিক বাজারে সংকটের অজুহাতে আরও একদফা বৃদ্ধি পেয়েছে ভোজ্য তেলের দাম। সেই সাথে বেড়েছে চিনি ও মশুর ডালের দর। এ নিয়ে এ বছর ভোজ্য তেলের মূল্য তিনবার বাড়ল। এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সব পরিবারে ব্যয় বেড়েছে।
খূচরা বাজারে গত সপ্তাহে খোলা তেল প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে একশ’ ৪০ টাকা, যা আজ বিক্রি হচ্ছে একশ’ ৪৫ টাকায়। পাঁচ কেজি বোতলের সয়াবিন তেলের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।
দেশে যে পরিমাণ চিনির উৎপাদন হয় তা দিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে চিনি আমদানি করতে হয় ব্যবসায়ীদের। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানেও বেড়েছে মশুর ডালের মূল্য।
মসুরের ডালের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে পাইকারী বাজারে আমদানি হওয়া মোটা মসুর ডালের দাম ছিল ৭৩ টাকা, যা পরিবর্তী ৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারের দাম কেজি প্রতি দু’ টাকা বেশী। দেশে উৎপাদিত ডালের মূল্য কেজি প্রতি ১শ’ ২০ টাকা।
রূপচাঁদা সয়াবিন তেলের এক পরিবেশক খুলনা গেজেটকে জানান, তেলের দাম বাড়ছে তা জেনেছেন কোম্পানীর মাধ্যমে। আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হবে।
বড় বাজারের খলিফা ট্রেডার্সের কর্ণধার জানান, গত রোববার থেকে লুজ তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি ব্যারেলে পাঁচশ’ টাকা বেশী দিয়ে তাকে তেল ক্রয় করতে হচ্ছে। গেল সপ্তাহের আগে প্রতিকেজি তেলের মূল্য তিন থেকে চার টাকা কম ছিল। কিন্তু এ সপ্তাহের শুরুতে আবারও বেড়ে গিয়ে এখন একশ’ ৪০ দাড়িয়েছে। তিনি জানান, আমেরিকা, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় করোনা প্রার্দুভাবের কারণে সেখানে সবাবিনের চাষ কম হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদেশ থেকে সয়াবিন না আসায়, এ সংকটের সৃষ্টি যা মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
অপরদিকে রেজা এ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সংকট থাকায় তেলের দাম বেড়েছে। মাল বুকিং দিলে আগে সাথে সাথে আসত, কিন্ত এখন ১৫ দিন পরে মাল আসছে। তা আবার বেশী দরে ক্রয় করতে হচ্ছে।
চিনি আমদানিকারক ইলিয়াজ স্টোরের মালিক জানান, চিনির দাম আবারও বেড়েছে। ১৫ দিন আগে এ পণ্যটির দাম কম ছিল। তিনি প্রতিবস্তা তীর চিনি তিন হাজার ৭শ’৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। আগের মূল্য তিন হাজার ৭শ’ ৩০ টাকা ছিল। এ হিসেবে প্রতিকেজি পাইকারি চিনির দাম পড়ে সাড়ে ৭৫ টাকা। খুচরা দোকানিরা তা ৮০ টাকা দরে বিক্রি করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।