খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
চলতি অর্থবছরে আদায় ৫ কোটি টাকা

ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে খুলনা জেলার শীর্ষে দিঘলিয়া ভূমি অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার ৯ উপজেলা এবং সদর থানার মধ্যে চলতি অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে খুলনা জেলার শীর্ষে রয়েছে দিঘলিয়া উপজেলা ভূমি অফিস। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে তারা রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আদায়ের হার শতভাগ।

উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মোট ভূমি উন্নয়ন করা আদায় হয়েছে ৫ কোটি ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৮২ টাকা। এরমধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরি (নাগরিকদের) কাছ থেকে আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৪ টাকা। এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লক্ষ ২৮ হাজার ৩১৪ টাকা।

এছাড়াও দিঘলিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের আওতাধীন ৫১০ দশমিক ৯৭ একর অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। এগুলোর ইজারা বাবদ আদায় হয়েছে ৬ লক্ষ্য ৯০ হাজার ৩১ টাকা। প্রতিবছর মিউটেশন কেস নিস্পতি বাবদও দেড় কোটি টাকার ঊর্ধ্বে রাজস্ব আদায় হয়।

দিঘলিয়া উপজেলাধীন ৬ টি ইউনিয়নসহ যোগীপোল মৌজা থেকে খুলনা মহানগীর জোড়া গেট এবং বয়রা ইসলামিয়া কলেজ এলাকা পর্যন্ত দিঘলিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের আওতাভুক্ত। উক্ত এলাকার মধ্যে মোট মৌজা রয়েছে ৪০ টি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দাবি (টার্গেট) ছিলো ৩ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৪৫ টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৪ টাকা। আদায়ের হার শতভাগ। কেননা জনগণ এমন সচেতন ও অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর দিতেও আগ্রহী।বিভিন্ন সংস্থার কাছে কিছু বকেয়া রয়েছে। সেগুলো আদায়ে ভূমি অফিস সচেষ্ট রয়েছে। সংস্থাগুলির কাছে ভূমি অফিস থেকে প্রতিনিয়ত চিঠি লেখালেখি করা হচ্ছে। এছাড়া মিউটেশন (নামপত্তন) কেস নিষ্পত্তি বাবদ বছরে দেড় কোটি টাকার ঊর্ধ্বে রাজস্ব আয় হয়। বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ১২’শ মিউটেশন কেস নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

নির্ধারিত সরকারি ফি ১১৭০ টাকা অনলাইনে বিকাশ অথবা রকেটে প্রদানের মাধ্যমে কেসগুলি নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি হিসাব মতে ২৮ দিনে মিউটেশন করার বিধান রয়েছে। দিঘলিয়া ভূমি অফিস থেকে খুব দ্রুততার সহিত ১৪ দিনের মধ্যে মিউটেশন কেসগুলি নিষ্পত্তি হচ্ছে।। এই টার্গেট নিয়ে গত ৩/৪ মাস থেকে ভূমি অফিস কাজ করছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এটা ২৮ দিনে চলে আসবে। ইতিপূর্বে এটা ৪২ দিন ছিলো। এবং তার আগে ৫১ দিন ছিলো। ক্রমান্বয়ে এটা কমে আসছে।

দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন নাম পত্তন করতে এসে কোন আবেদনকারী যেন হয়রানির শিকার না হয়, দালালের খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ দিতে না হয় এ ব্যাপারে আমরা সর্বদা সতর্ক থাকি। আমরা চেষ্টা করি সেবা নিতে আসা সকল নাগরিককে শতভাগ সেবা প্রদান করতে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!