ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৬৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। তাদের মধ্যে ২৬৪ জন বাংলাদেশি। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) তাদেরকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড বলছে, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে ২৬৪ জন বাংলাদেশি এবং ৩ জন মিসরীয় নাগরিক। অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারা সাগরে ভাসছিলেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তিউনেসীয় নেীবাহিনীর সহায়তায় ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বেন গুয়ের্দেন বন্দরে নেওয়া হয়। বন্দরটি লিবিয়া সীমান্তের ঠিক পাশেই অবস্থিত। সেখান থেকে উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেড ক্রিসেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আইওএম জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের তিউনেসীয় জেরবা দ্বীপের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তিউনেসিয়ায় এক হাজারেরও বেশি অভিবাসী আটক হয়েছেন এবং দিনে দিনে এই সংখ্যাটি বাড়ছে।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করতে লিবিয়া থেকে রওয়ানা হয়েছিলেন। গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় যা ৭০ শতাংশেরও বেশি।
রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মোঙ্গি স্লিম জানিয়েছেন, অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিউনেসিয়ায় তৈরি করা কেন্দ্রগুলো এখন পূর্ণ হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৬০ জন অভিবাসী মারা গেছেন। গতবছর এই সংখ্যাটি ছিল এক হাজার ৪০০ জন। সূত্র : এএফপি।
খুলনা গেজেট/এনএম