বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি বেসরকারি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম গ্রীন লাইফ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেন। উপজেলা হাসপাতালের অদূরে সদ্য চালু হওয়া এ সাইনবোর্ডবিহীন ক্লিনিকটির কোন রেজিষ্ট্রেশন বা অনুমোদন নেই।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে আশরাফ আলী শেখ(৮০) নামে ভর্তি থাকা এক রোগীর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগে নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেন। উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আহাদ নাজমুল হাসান ও ডা. রেজওয়ানা মেহজাবীন বর্না এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লিনিকের পরিচালক কচুয়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী মো. রিয়াদুল ইসলাম সোহাগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স সকলে ক্লিনিক ফেলে পালিয়ে যান। ভুল চিকিৎসায় মৃত আশরাফ আলী শেখের ছেলে ইমরাজ শেখ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে তার বাবাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা বর্তমানে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. কামাল হেসেন মুফ্তি’র তত্বাবধানে চিকিৎসার জন্য ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে ওই ক্লিনিকের সেবিকা তার বাবাকে ইনজেকশন দিলে সে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও ক্লিনিকের কোন কর্মকর্তা প্রকাশ্যে না আসায় সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই ক্লিনিকে ভর্তি থাকা দু’জন রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মোবাইল টিমে অংশ নেয়া উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আহাদ নাজমুল হাসান জানান, এ ক্লিনিকটি সম্পূর্ণ অনুমোদনবিহীন, এছাড়া একটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য যে সব শর্ত পূরণ করতে হয় তার কোন কিছুই এখানে নেই।