জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চের ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে এবার ধর্মঘট শুরু করেছেন লঞ্চ মালিকরা।
প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করার প্রতিবাদে শুক্রবার পল্টন কার্যালয়ে বৈঠক করেন লঞ্চ মালিকরা।
বৈঠকে বাস ও ট্রাক ধর্মঘট শুরু হলেও লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন তারা। শনিবারের মধ্যে ভাড়া বাড়ানো না হলে তারাও ধর্মঘটের পক্ষে মত দেন। তবে এদিন ভাড়ানোর সিদ্ধান্ত না আসায় লঞ্চ মালিকরা ধমর্ঘটের ডাক দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমদ বলেন, ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। এতে শতভাগ ভাড়া বাড়ানোর কথা জানিয়েছি। শনিবার এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু আমাদের দাবি না মানায় লঞ্চ মালিকরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে লঞ্চের ভাড়া পুনঃনির্ধারণে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আগামীকাল রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে যাত্রীদের কাছ থেকে পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া নিতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকালে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার লঞ্চ মালিকরা এক চিঠিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চের ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে বিআইডব্লিউটিএ-কে আলটিমেটাম দেন।
চিঠিতে লঞ্চের ভাড়া প্রথম একশ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ১ টাকা ৪০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তারাও ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দেনন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীবাহী লঞ্চের যাত্রীভাড়া বাড়ানোর লক্ষ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএতে বহুবার আবেদন করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ৮ নভেম্বর ভাড়া নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি সভা আহ্বান করেন।
খুলনা গেজেট/এএ