মোংলায় ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ এনে সোমবার ২৪ শে জুলাই সকালে মোংলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিবারের পক্ষে মোঃ মতিউর রহমান রানা জানান আমার বাবা মোঃ মোতালেব জমাদ্দার একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ ছিলেন। ২০০০ সালে মোংলা পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোর্শেদ সড়ক এলাকায় ১৫.৫০ শতক জমি কিনে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে আমরা ঢাকা চলেগেলে ২০০৩ সালে ঘরের কিছু অংশ মাসিক ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ভাড়া চুক্তিতে স্থানীয় মো: মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে ভাড়া দেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত ঘর ভাড়া পরিশোধ করলেও পরে বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে বাসা ভাড়া না দিয়ে আমার বাবার সাথে তারা খারাপ আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ করতো। এবং কি ঘর ভাড়া চাইতে গেলে আমার প্রতিবন্ধী পিতা মোতালেব জোমাদ্দারকে হত্যা করে পশুর নদীতে ফেলে দিবে বলে শাষিয়েছিলো মিজানুর। তার কিছুদিন পর থেকে আমার বাবা মোতালেব জোমাদ্দারকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। মিজানুর রহমান গং মিলে তাকে গুম করে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মোতালেব জোমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বাড়ি ভাড়া দিচ্ছিলেন মিজানুর রহমান। কিন্তু পরে বিভিন্ন তাল বাহানায় ঘর ভাড়া পরিশোধ না করার জন্য ফন্দি করেন মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান বানোয়াট কাগজপত্র তৈরি করে জমি তাঁর জমি হিসেবে দাবি করে বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালতে দে: ৫৭/১৯ মামলা দায়ের করেন। মিজানুর রহমানের মৃত্যু হলে তার ছেলে সাইফুর রহমান সাব্বির মামলাটি পরিচালনা করে মামলায় হেরে যায় এবং মামলাটি খারিজ হয়। তাদের কোন সত্ব না থাকার পরও তারা বানোয়াট কাগজপত্র তৈরী করে একের পর এক হয়রানি করে আমাদের সর্বশান্ত করেছে। যার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন তিনি। বাড়ি জবরদখলের বিষয়ে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাননি বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান মতিউর রহমান রানা।
গত বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে তার বড় বোন মাসুদা বেগমসহ তারা তাদের নিজ বাড়িতে সাব্বিরের কাছে ভাড়ার টাকা দাবী করে ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তাদের মারধর করেন ভাড়াটিয়া সাব্বির গং। এ বিষয়ে মোংলা থানায় একটি অভিযোগ করলেও এখনো পর্যন্ত কোন সুরাহা পাননি বলেও অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধী মোতালেব জোমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার দায়ের কৃত অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মোংলা থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল ইসলাম