খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

ভালো সাড়া পাচ্ছি, আমার চরিত্রটির মৃত্যু মানতে পারছে না : নাদিয়া

বিনোদন ডেস্ক

ছোট পর্দার অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। দেশের শোবিজে প্রায় এক যুগ পেরিয়েছে তার পথচলা। ২০০৮ সালে মডেলিং দিয়ে শুরু করেন ক্যারিয়ার। এখন অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিতি তার। অন্যদের মত খুব বেশি কাজ না করলেও দিনকে দিন বাড়ছে তার জনপ্রিয়তা।

সম্প্রতি ভিকি জাহেদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একটি খোলা জানালা’ মুক্তি পেয়েছে। সেখানে নার্সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদিয়া। থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে এমন লুকে এর আগে কেউ দেখেনি তাকে। যদিও অভিনেত্রীর দাবি, নার্সের চরিত্রে কাজ করে বেশ সাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে সেই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাদিয়া বলেন, ‘চরিত্রটি রপ্ত করতে বেশ প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। হলিউড মুভি ও সিরিজের অংশবিশেষ দেখেছি। যাতে আমি নার্সদের মতো করে আচার-আচরণ কথাবার্তা বলতে পারি না। কারণ আমি তো প্রশিক্ষিত নার্স নই।’

নাদিয়ার কথায়, ‘কাজটি নিয়ে অনেক স্টাডি করতে হয়েছে। রিহার্সেল করতে হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও খুব কষ্ট করে শুটিং করেছি। সহশিল্পীরা নিজেদের জায়গা থেকে সেরাটা দিয়েছেন। দর্শকের ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে আমার চরিত্রটির মৃত্যু মানতে পারছেন না তারা। আমাকে মারার কারণে রাগ করেছেন।’

তবে নির্মাতা ভিকি জাহেদের সঙ্গে নাদিয়ার এটিই প্রথম কাজ না। এর আগেও নির্মাতার সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন অভিনেত্রী। নাদিয়া জানান, ভিকিকে পরিবারের সদস্যের মতই মনে করেন নাদিয়া। অনেকে কাজিনও মনে করেন তাদের। ভিকির সঙ্গে নাদিয়ার প্রথম কাজ ছিল ‘মায়া’তে; সঙ্গে ছিলেন জোভান। একই নির্মাতার ‘দূরবীনে’ তাহসানের সঙ্গে কাজ করেছেন নাদিয়া। ‘মন’ এ কাজ করেছেন সিয়াম আহমেদের সঙ্গে। এছাড়াও ভিকির সঙ্গে টিভিসি, মিউজিক ভিডিও করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে অসংখ্য কাজ হয়েছে।

গত বুধবার ওটিটি প্লাটফর্ম বিঞ্জে আসে ‘একটি খোলা জানালা’। ইতোমধ্যে এর প্রশংসা চলছে নেটমাধ্যমে। গত ১৮ জুলাই এটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ছবিটি মুক্তি পিছিয়ে দেয় বিঞ্জ।

মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার গল্পের এ ছবিতে নাদিয়ার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ফারিণও নার্সের চরিত্রে। গল্পপটে, কেশবগঞ্জ নামের এলাকায় একের পর এক নার্স খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন ওঠে, বেছে বেছে কেন নার্সদের খুন করা হচ্ছে, কারা করছে? কেন করছে? উল্লেখ্য, কেশবগঞ্জ মানসিক হাসপাতালে কাজ করেন তারা। সে হাসপাতালকে ঘিরে গল্প।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!