খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

ভারত বিরোধী স্লোগানে উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বাদ জুমা (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ-মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রধাণ ফটক লাগোয়া নির্মাধিন ফোয়ারার সামনে এসে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের সাথে সম্মতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়া, এসিসিই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ কামারুজ্জামান, কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হক শাহীন, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ আলী খান ও ছাত্র উপদেষ্টা শরাফত আলী প্রমুখ।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘বন্যায় যদি মানুষ মরে, সেভেন সিস্টার থাকবে নারে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘বন্যায় যখন মানুষ মরে, আবরার তোমায় মনে পড়ে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ভারতীয় দাদাগিরি, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ, রাজপথ’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বন্যা কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, এটা দিল্লির গুটি চালানো পানি। এটা রাজনৈতিক উদ্যেশ্য প্রণোদিত বন্যা। ভারত রাজনৈতিক বন্যা চাপিয়ে দিয়েছে আমাদের উপর। ভারতকে বলতে চাই, আপনারা ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙবেন না। ধৈর্যের বাধ ভাঙলে সেভেন সিস্টার্স ভেঙে দিব। এ সময় বন্যাকবলিত মানুষকে সহায়তার আহ্বান জানান তারা।

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফায়েকুজ্জামান বলেন, ‘সাধারণত দেশে কোনো দূর্যোগ আসলে আমরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে পূর্বাভাস পেয়ে থাকি। যার ফলশ্রুতিতে সম্ভাব্য আক্রান্ত স্থানের মানুষদেরকে আমরা নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিই। কিন্তু এবারের বন্যায় তেমন কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি। ভারত আমাদেরকে কোনো ধরনের সর্তকতা ছাড়াই বাঁধগুলো খুলে দিয়েছে। যা কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের থেকে কাম্য নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘চলমান বন্যার মূল সংকট শুরু হবে বন্যার পানি নেমে গেলে। তখন বন্যা আক্রান্ত মানুষ বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। তাছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পূর্নবাসনের বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসাবে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলছি আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের পাশে যেকোনো প্রয়োজনে সবসময় আছি।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!