অবৈধ পথে ভারত গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলো পাঁচ শিশুসহ ২১ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
তারা ভারতে ৫ মাস থেকে ৬ বছর সাজাভোগ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ৭ জন, রাইটস যশোর ৭ জন ও মহিলা আইনজীবি সমিতি নামে ৩টি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।
ফেরত আসাদের মধ্যে ১০ জন নারী, ৬ জন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু রয়েছে। তাদের বয়স ৭ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এরা বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, নড়াইল, মুন্সিগঞ্জন, ঢাকা ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের প্রতিনিধি রোকেয়া বেগম বলেন, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আসায় তারা ভারতে যায়। সে দেশের কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। সেখান থেকে এম এম রেসকিউ, সংলাপ, তালাশ নামে এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। ৫ মাস থেকে ৬ বছর পর তারা দেশে ফিরে এসেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ বলেন, এসব নারী পুরুষরা সীমান্তের অবৈধ পথে বিভিন্ন সময়ে ভারতে যায়। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করার সময় সেই দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে তারা জেলহাজতে যায়। পরে ভারতের ‘এম এম রেসকিউ, সংলাপ ও তালাশ’ নামে বেসরকারি এনজিও সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। সেখানে ৫ থেকে ৬ বছর থাকার পর ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরেছে।
ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবি নামে এনজিও সংস্থারা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য সন্ধ্যায় থানা থেকে নিজম্ব শেল্টার হোমে নিয়ে গেছেন।